Bangla Pdf Book Download

নিষিদ্ধ লোবান PDF DOWNLOAD

আসসালা মুআলাইকুম বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আমাদের এই ওয়েভ সাইটটি ভিজিট করারা জন্য ধন্যবাদ। আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি একটি নতুন চমক নিয়ে এসেছ। সবার জন্য রয়েছে নিষিদ্ধ লোবান বইটির সম্পূর্ণ রিভিউ ও Pdf Download link তাই দেরি না করে বইটি ডাউনলোড করে ফেলুন।

বইয়ের সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ


বইয়ের নাম —– নিষিদ্ধ লোবান
লেখক —– সৈয়দ শামসুল হক
প্রকাশনী —-আদর্শ
প্রকাশকাল —— ২০১৮
পৃষ্ঠার সংখ্যা ——- ১৫২+
দেশ —– বাংলাদেশ
ফরম্যাট —— পিডিএফ ডাউনলোড – Pdf free Download
ফাইল সাইজ ——– ১২ এম্বি


বইয়ের সম্পূর্ণ রিভিউঃ

উপন্যাস টি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে লিখা অন্যতম সেরা এক উপন্যাস।একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে উপজীব্য করে বাংলা সাহিত্যের সকল বইয়ের মধ্যে এটি অনন্য অসাধারণ এক বই।  কাহিনীর শুরু বিলকিস নামের একজনের ঢাকা থেকে তার গ্রামে যাওয়ার মধ্য দিয়ে।পথিমধ্যে ট্রেন আর তার গ্রাম জলেশ্বরীতে যাবে না দেখে সে স্টেশনে অসহায়ের মত পড়ে থাকে।

তবে এই অবস্থাতেও সে হেঁটেই তার গ্রামে যাবার সিদ্ধান্ত নেয় এবং এই অবস্থায় তার সঙ্গী হয় এক যুবক।গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখে তার পরিবারের কেউই বাড়িতে নেই,এমনকি তাদের গ্রামেও কোন মানুষ নেই।মিলিটারি এবং বিহারির আক্রমনে সব গ্রাম থেকে পালিয়ে যায় এবং তার ভাইকে মিলিটারিরা মেরে ফেলে।

আরও পডুন:-  চাণক্য নীতি বই PDF DOWNLOAD

ভাইয়ের মৃত্যুর কথা শুনে তার ভেতরের সকল ভয় ডর চলে যায়।জীবনের মায়া তুচ্ছ করে সে ভায়ের লাশ খুঁজে বেড়ায় রাতের আঁধারে।কিন্তু সে খুঁজে পায় না।এমন অবস্থায় সে সিদ্ধান্ত নেয় সবগুলো লাশকেই সে কবর দিবে। তার সাথে থাকে সেই যুবকটি যে থাকে হিন্দু।পরবর্তীতে ঘটনাপ্রবাহ এভাবেই এগোতে থাকে।বিলকিস তার ভাইকে পেল কিনা,তাকে করব দিতে পেরেছিল কিনা,নাকি সেও বিহারিদের হাতে ধরা পড়ে যায় সেসবেরই ভালোরকম বর্ননা দেয়া আছে পুরো বইতে…।।।

সংক্ষিপ্ত পরিসরে লেখা হলেও বইটিতে উঠে এসেছে অনেক বাস্তবতা।একাত্তরে পাক হানাদাররা এদেশের মা বোনের সম্ভ্রম নিয়ে যেরকম ছিনিমিনি খেলেছে তার স্পষ্ট প্রমান পাওয়া যায়।হিন্দু মুসলিম উভয়ের উপরই যে কি নির্মম অত্যাচারের খড়গ নেমে এসেছিল সেটাও আমরা দেখতে পাই।হিন্দু মুসলিম নিয়ে যে বিকৃত,অশ্লীল এবং কুরুচিপূর্ণ মনোভাব পাকিস্তানিদের ছিল এবং জঘন্য কাজকারবারেরও তাদের কোন জুড়ি ছিল না সেসবও আমরা দেখতে পাব।

এমনকি সৎকারের বেলাতেও যে শয়তানি মন মানসিকতা তাদের উদয় হয় সেসবও আমরা ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারব।শেষটা খুব চমৎকার। বাঙালি মেয়েরা কিভাবে সেসময়টা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছিল,শত্রুকে ভিরমি খাইয়ে দিয়েছিল সেটা আমরা সামান্য হলেও দেখতে পাব।হ্যাপি রিডিং

বই রিভিউ ২ঃ- 

বিলকিসের গন্তব্য জলেশ্বরী  তাঁর যাত্রাপথের শুরু ছিল ঢাকা, নবগ্রামে ট্রেন এসে ফেরত চলে গেল তোরশাতে। জলেশ্বরীর দূরত্ব এখনো পাঁচ মাইল, কোথাও কোনো যান নেই।  পায়ে হেটে হলেও বিলকিসকে জলেশ্বরী যেতেই হবে। তাঁর মন উদ্বিগ্ন হয়ে আছে তার মা, বোন ও ভায়ের জন্য। সেই ২৫ শে মার্চ রাত থেকে তাঁর স্বামী আলতাফের কোন খোঁঁজ নেই। কখনো খোঁঁজ পাবে সে আশা সে করে না। নাড়ির টান কিনা করতে পারে!

পাঁচ মাইল কেন, হাজার মাইলও পায়ে হাটার মতো দুঃসাহস পেয়ে যাওয়া একটা মুহুর্তের ব্যাপার মাত্র। সে পায়ে হেটেই জলেশ্বরীর দিকে ছুটে চললো।  স্টেশনে নামার পর থেকেই সে লক্ষ্য করছে, ১৭-১৮ বছরের একটা ছেলে তাকে অনুসরণ করছে। হাটার মধ্যেই মনে হচ্ছিলো কেউ তার পিছু নিয়েছে। পেছনে তাকিয়ে সেই ছেলেটাকেই আবিষ্কার করলো বিলকিস যাকে সে স্টেশনে  দেখেছিলো। ছেলেটা একটু সামনের দিকে এগিয়ে চুপ করে দাঁড়িয়ে রইল।

বিলকিস কিছু প্রশ্ন করলেও সে চুপ করে থাকে, পরক্ষণেই বলে উঠে,”আপনি জলেশ্বরীতে যাবেন না।” বিলকিস তাঁর সিদ্ধান্তে অটল, তাকে যেতেই হবে। তবে ছেলেটার সরলতা আর মিনতি তাকে স্পর্শ করে যায়।  সময়ের বাঁকে বাঁকে জীবনের প্রতিটি মোড়েই মানুষের জীবনের নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়। হতে পারে সেটা নতুন কোনো ঘটনার জন্য,হতে পারে কোন পরিচিত মানুষের সান্নিধ্য লাভের জন্য অথবা হতে পারে অপরিচিত কোন মানুষের সাথে পরিচিত হওয়ার জন্য।

আরও পডুন:-  গণিতের জেমস বন্ড PDF DOWNLOAD (ALL)

সময়ে সময়ে এই সম্পর্ক গুলো রক্তের সম্পর্ককেও হার মানায়।  তারা দু’জনেই জলেশ্বরীর দিকে পা বাড়ায়। সন্ধ্যের দিকে তারা পদার্পণ করে জলেশ্বরীতে। কিন্তু বাড়িতে মা, বোন, ভাই কাউকেই না দেখে বিলকিস চিন্তিত হয়ে পড়ে। সিরাজ গ্রামে খোঁঁজ নিয়ে জানতে পারে বিলকিসের মা,বোন নদীর ওপারে চলে গেছে আর তারা নিরাপদেই আছে। কিন্তু তার ভাইকে হত্যা করেছে পাকিস্তানি সৈন্যরা।ভায়ের মৃত্যুর খবর সিরাজ বিলকিসকে দেয় না।

কিন্তু বিলকিস পরক্ষণে ঠিকই জানতে পারে তার ভায়ের মৃত্যুর খবর। আরো জানতে পারে তার ভাই সহ আরো অনেককে হত্যা করে বাজারের মাঠে ফেলে রেখেছে পাকিস্তানিরা। লাশ ছোয়ার প্রতিও কড়া নিষেধাক্কা জারি করা হয়েছে।  কথায় আছে অধিক শোকে মানুষ পাথর হয়ে যায়। ভায়ের মৃত্যু সংবাদ তার কাছে নতুন মনে হয় নি, মনে হয়েছে শোনা কথাই সে দ্বিতীয়বার শুনছে। দৃঢ় হয়েছে তার মনোবল, তাঁর মাথায় নতুন চেতনা জেগে উঠেছে, সে দাফন করবে তার ভায়ের লাশ।পাক-বাহিনী কিভাবে তাকে প্রতিরোধ করে

সেটাই সে দেখতে চায়। আর তার সাথে সঙ্গ দিয়েছিল সিরাজ।

বই রিভিউ ৩ঃ-

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাসগুলোর মধ্যে “নিষিদ্ধ লোবান” একটি ব্যতিক্রমধর্মী রচনা।মুক্তিযুদ্ধে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের অংশগ্রহণও ছিলো চমকপ্রদ এবং ঈর্ষণীয়।এই বিষয়টি সৈয়দ শামসুল হক তার সুনিপুণ রচনাশৈলী দ্বারা তুলে ধরেছেন।বইটির বিশেষত্ব হচ্ছে চমৎকার ঘটনাপ্রবাহ এবং নান্দনিক উপস্থাপনা।উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্রে থাকে ‘বিলকিস’।

যে কিনা ঢাকা থেকে নিজের গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলো।সেখানে পথিমধ্যে জানতে পারে তার গ্রাম পাক-বাহিনী দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে।সেখানেই পরিচয় হয় সিরাজের সাথে।যদিও পরে জানতে পারে সিরাজের আসল নাম প্রদীপ।হানাদারবাহিনীরা যাদের হত্যা করে যায় বিলকিস এবং প্রদীপ মিলে তাদের কবরের ব্যবস্থা করে।একপর্যায়ে শত্রুর হাতে ধরা পড়ে যায় তারা।

পাকবাহিনীর মেজর বিলকিসের শ্লীলতাহানি করতে চাইলে কৌশলে সে মেজরকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে।অতপর গল্পের শেষভাগে আমরা দেখতে পাই সে মেজরকে চিতার মাঝে পুড়তে বাধ্য করে। উপন্যাসটির কাহিনী সংক্ষিপ্ত হলেও তা পাঠকের মন-হৃদয়কে মুগ্ধ করে তোলে।মুক্তিযুদ্ধের বীরংগনাদের ভূমিকা নিয়ে ভাবতে শেখায়।এই উপন্যাসটির শিক্ষাও অনেক।সবথেকে প্রধান যে শিক্ষা আমরা নিতে পারি, যেকোনো অবস্থায় আপনার যাই সামর্থ্য থাকুক না কেন দেশের জন্য লড়ে যান।বিজয় আসবেই ইন শা আল্লাহ।

নিষিদ্ধ লোবান 👎👎 pdf download link

       download

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button