জীবনী

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর জীবনী: ধর্ম, স্ত্রী,গোল সংখ্যা

প্রিয় বন্ধুরা এখন আামরা জানব ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর জীবনী সম্পর্কে,

  • নামঃ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো
  • জন্মঃ ১৯৮৫ সালের ৫ ই ফেব্রুয়ারি
  • বাবার নামঃ ডেনিস আভেইরো
  • মায়ের নামঃ মারিয়া আভেইরো
  • জাতীয়তাঃ পর্তুগিজ
  • ধর্মঃ খ্রিস্টান
  • বর্তমান বয়সঃ ৩৬ বছর
  • জাতীয় দলের গোল সংখ্যাঃ ১০১ টি
  • ক্লাব গোল সংখ্যা:  ৭৭০টি
  • সম্মাননা ঃ ৪টি গোল্ডেন বুট, ৫টি ব্যালন ডিয়র। ..জাতীয়দলঃপর্তুগাল
  • বর্তমান ক্লাবঃ ইয়ুভেন্তস
  • উচ্চতাঃ৬ ফুট ২ ইঞ্চি
  • জার্সি নম্বরঃ৭

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর জীবনী | Cristiano Ronaldo’s Biography in Bangla:

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো একজন পর্তুগিজ জাতীয় দলের খেলোয়াড। যিনি সারা বিশ্বে “CR7″নামে বিখাত। যাকে আাবার পেনালটি কিং ও বলা যায়। কারণ তিনি পেনালটি মিচ কম করেন। তিনি একজন প্রতিভাবান খেলোয়াড় যিনি সারা বিশ্বে অনেক আলোড়ন ছড়িয়েছেন। তিনি লিগ খেলায় রিয়াল মাদ্রিদ এর হয়ে খেলে থাকেন। তিনি অনেক অল্প সময়ে কোটি ভক্তের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। তার এই নামটি তার বাবা ডোনাল্ড রিগানের নাম অনুসারে রাখেন যিনি ছিলেন আমেরিকার ৪০ তম রাষ্টপতি। রোনালদোর বাবা ছিলেন পাঞ্চল পৌরসভার সামান্য একজন মালি। তার মা মারিয়া ছিলেন সামান্য একজন রাধুণী। তার মা বাবা দুজনে মিলে খুব কষ্ট করে অল্প টাকা পয়সা দিয়ে তাদের সংসার চালাতেন।

রোনালদোর পরিবারে সে ছাড়া তার দুই বোন ও এক ভাই রয়েছে। তার দুই বোনের নাম ইলমা ও লিলিয়ানা এবং ভাইয়ের নাম হুগো।
তাদের ছিল খুবই ছোট একটি টিনের ছাদওয়ালা ঘর তারা ৬জন অনেক কষ্ট করে সেখানে থাকতেন।
• রোনালদো ছোটবেলা থেকেই ফুটবল খেলা অনেক ভালোবাসত। তার বয়স যখন ৩ তখন থেকেই সে ফুটবল খেলা শুরু করে।তার বয়স যখন ৬ বছর হয় তখন সে স্কুলে ফুটবল খেলতেন।
• ছোটবেলায় রোনালদোর প্রিয় ফুটবল ক্লাব ছিল পর্তুগিজ ক্লাব এস. এল. বেনিফিকা যদিও তিনি কিন্ত সুযোগ পাননি সেই ক্লাবে খেলার।অবশেষে আট বছর বয়সে তিনি সেখানকার প্রফেশনাল ফুটবল ক্লাব(আন্দরিনহাতে) খেলার সু্যোগ পেয়ে যান।
• ছোট বেলায় রোনালদোর মা তাকে ( cry baby) বলে ডাকত।সেটার কারন হল সে ছোট বেলায় খেলার মাঠে ভালো খেলতে বা গোল করতে না পারলে খুবই কাদঁত।
• রোনালদোর বয়স যখন ১০ বছর তখন সে দেশের সবচেয়ে বড় ফুটবল ক্লাব (Nacional)এ খেলার সুযোগ পেয়ে যান।
তিনি সেই ক্লাবের হয়ে খেলেন মাএ দুই বছর।

তারপর তিনি”১৯৯৭ “সালে পর্তুগালের হয়ে একটি অনেক বড় ফুটবল ক্লাব স্পোটিং লিবসনের হয়ে খেলেন ২০০৩ সাল পর্যন্ত যা প্রায় ৬ বছর। তিনি যখন স্পোটিং লিবসনের হয়ে খেলার জন্য তাকে নির্বাচন করা হয় তখন তাকে তার পরিবার পাঞ্চল ছেড়ে অনেক বহুদূরে তার দেশের রাজধানীতে একেবারের জন্য চলে আসতে হয়।
রোনালদো সহ তার পরিবারের সবাই নিজের শহর ছেড়ে আসাতে অনেক দুঃখী হয়ে পড়ে। তিনি এটার জন্য বেশ কিছুদিন অনেক হতাশায় ছিলেন,এটা হওয়াটাই তার জন্য স্বাবাবিক ছিল।

আমরা অনেকেই এটা জানিনা যে, যখন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর বয়স ১৫ বছর, তখন তার জন্য একটা ভয়াবহ দুঃসংবাদ আসে, তখন তার হৃদরোগ ধরা পড়ে। এমন অবস্থায় ডাক্তাররা তার মা-বাবাকে স্পষ্ট করে বলে দেন এমন অবস্থায় তার জন্য ফুটবল খেলাটা মোটেই অনুপোযোগী,তার ফুটবল খেলাটা উচিৎ নয়।
তবে তখন রোনালদোর জনয দুটি পথ ছিল ১.সে জটিল অস্ত্রোপ্রচার করতে হবে না হয়২. সে ফুটবল জগৎ কে চির বিদায় জানাবে।

এই দুটি সিদ্বান্তের মধ্যে যে কোনো একটি সিদ্বান্ত বেছে নেয়াটা তার পক্ষে অনেক কঠিন হয়ে দাড়িয়েছিল। তখন সে অবশেষে সিদ্বান্ত নিয়ে নিল সে ফুটবলকে ছাড়তে রাজি নন এর জন্য তাকে যত বড় অস্ত্রোপ্রচার করা হোক না কেন ।
রোনালদোকে তারপর লিবসনের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা অস্ত্রোপ্রচার করার জন্য। খুব সোভাগ্যের ব্যাপার যে তার হৃদপিন্ডের অস্ত্রোপ্রচার সফলভাবে সম্পন্ন হয়।
এটা ভেবে অবাক লাগে যে , সেই সময় যদি রোনালদোর অস্ত্রোপ্রচারে কিছু হয়ে বা সে যদি অস্ত্রপ্রচারের ভয়ে ফুটবল ছেড়ে দিত তাহলে আমরা আজ এই প্রতিভাবা খেলোয়াড দেখতাম না। আমরা মিস করতাম তার ফুটবল জাদু।
তার কিছু দিন পর রোনালদো পুরোপুরি সুস্থ হয়ে আবার ফুটবল অনুশীলনে মনোযোগ দেয়। তারপর হঠাৎ করেই তার জীবনে অন্ধকার ঝড় নেমে আসে।তার বাবা ডেনিস অতিরিক্ত মদ খাওয়ার কারণে ৫২ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করে।
রোনালদো এই রকম ধাক্কা একদমই সহ্য করতে পারেনি, বাবার মৃত্যুতে সে একদম মর্মাহত হয়ে পড়ে।

রোনালদোর বাবার মৃত্যু যেহেতু অতিরিক্ত মদ পান করার জন্য হয়েছিল, সেজন্য তিনি আজ অবধি মদ স্পর্শ করেননি।

এরপর তিনি বারা শোক কাটিয়ে আবার খেলায় মনোযোগী হয়ে পড়ে । এখন তিনি পর্তুগালের জাতীয় দলের স্ট্রাইকার। তিনি ফুটবলের একজন নতুন প্রতিভা। তার বয়স ২৮ এর মধ্যেই তিনি অনেক দল এবং ব্যক্তিগত ট্রপি সংগ্রহ করেছেন।তিনি বারবার বিশ্ব খেলোয়াড হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
২০০ great সালে তিনটি দুর্দন্ত পর্তিগিজ ক্লাব লিবসনের হয়ে পেশাদার ফুটবল খেলা শুরু করেন। এক বছর পর রোনালদোর জীবনে একটি আকর্ষনীয় সত্য দিয়ে পূরন করা হয়েছিল স্যার আলেক্স ফার্গুসন ফুটবল খেলায় মনোযোগ দেননি। পরে দেখা গেল তিনি এটিকে যথাযথ কারনে এনেছিলেন এবং আ্যাথলেট একটি নতুন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের টি শর্টে ২০০৩-২০০৪ মোসুমে নতুন আসর শুরু করেছিলেন। এমনকি কিষ্ঠতম ভক্ত তাকে তারকা তাকে ডেভিড বেকহ্যামের প্রতিস্থাপন হিসেবে দেখিয়েছিলেন, যিনি বহু বছর ইংলিশ ক্লাবে রিয়েল মাদ্রিদ যাওয়ার সিদ্বান্ত নিয়েছিলেন।ইংলিশ ক্লাবে ১ বছর পরে রোনালদোও গ্যালাকটিকায় যোগ দেন।

“ম্যানচেস্টারে সময় কাটানোর জন্য রোনালদোর জীবনে ১৯৯ অফিসিয়াল ম্যাচ, যা আক্রোমনে নের্তৃত্বাধীনআ”ম্যানকুনিয়াস” এর ৮৪ টি গোল ব্যয় করে পুনরায় ইছা পূরণ করে। রোনালদো মূল ইউরোপিয় ট্রপি- উয়েপা চ্যাম্পিয়ন লিগ কাপ সহ অনেক শিরোপা সংগ্রহ করেছিলেন এবং স্পেন কে ও জয় করতে গিয়েছিলেন। এজন্য সময়টি বেচে নিয়েছিলেন তিনি। বেকস ইতিধ্যেই সেই সময়গুলিতে স্টেটে খেলতে নেমেছিল এবং ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ “ক্রিমি “গুলির প্রেসিডেন্ট পদে ফিরে এসেছিলেন। তিনি এই রচনাটিতে ট্রপি এবং নতুন তারকাদের প্রত্যাশা করেছিলেন, যার ভিওিতে তিনি লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করতে প্রস্তুত ছিলেন। তবে তিনি বেশি মজুরির জন্য সেখানে যাননি। তার ম্যানচেস্টার বছরের জীবনী্ ট্রপি এবং লাভজনক চুক্তিতে পরিপূর্ণ ছিল। তাই তিনি বরং উৎসাহের সন্ধানে রিয়াল মাদ্রিদ এ গিয়েছিলেন। তবে আরোহী ফুটবল তারকা এটাই তার রিয়েলে এটাই বাস্তব চ্যালেন্জ ছিল।
• রোনালদো রিয়াল মাদ্রিদে অনেক ভালোই খেলছিলেন।তিনি জ্বলে উঠেছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে। মরিনহোর অধীনে এবং আনস্লোওির অধীনে লাইন আপে তার জায়গাটি নিয়ে আলোচনা করা হয় যদি সে তার ম্যাচ মিচ না করে। তিনি ক্লাবের এক শতাংশ টি -শার্ট এবং স্পনসরশিপের এর চুক্তিতে আরামের সাথে সারাজীবন বাচতে পারে,তবে তিনি তার কৃতিত্বের উপর বিশ্রাম নেননা।
• এরই মধ্যে দেখতে দেখতে তার বয়স ৩৬ হয়ে গেছে । ধীরে ধীরে তার যোনো বিদায়ের ঘন্টা বাজছে। কয়েকদিন আাগেই তিনি তার শেষ করেছেন। এখন তিনি জাতীয় দলের হয়ে সর্বোচ্চ গোল করেছেন। হয়তো কিছু বছর পর মাঠে দেখা যাবেনা এই প্রতিভাবান খেলোয়াডকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button