চাণক্য নীতি বই PDF DOWNLOAD
আসসালা মুআলাইকুম বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আমাদের এই ওয়েভ সাইটটি ভিজিট করারা জন্য ধন্যবাদ। আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি একটি নতুন চমক নিয়ে এসেছ। সবার জন্য রয়েছে হুমায়ূন আহমেদের চাণক্য নীতি বইটির সম্পূর্ণ রিভিউ ও Pdf Download link তাই দেরি না করে বইটি ডাউনলোড করে ফেলুন।
বইয়ের সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ
বইয়ের নাম —– চাণক্য নীতি
লেখক —– হুমায়ূন আহমেদ
প্রকাশনী —-আদর্শ
প্রকাশ কাল —— ২০১৯
পৃষ্ঠার সংখ্যা ——- ১৫২ পৃষ্ঠা
দেশ —– বাংলাদেশ
ফরম্যাট —— পিডিএফ ডাউনলোড – Pdf free Download
ফাইল সাইজ —– ২৩ এম্বি
বইয়ের সম্পূর্ণ রিভিউঃ
দুপুরবেলা মায়ের ডাকে নবনীর ঘুম ভাঙ্গে।ঘুম ভাঙ্গার পর সে জানতে পারে আজ তার বিয়ে। হুট করে কেউ যদি জানে আজ তার বিয়ে তাহলে বিচলিত হওয়ার কথা। কিন্তু নবনী হচ্ছেনা। আসলে তার কোনওরকম অনুভূতিই হচ্ছেনা।
নবনীর ছোটবোন ইরা, ওর মা বাবা সবাই আজকে বেজায় খুশি। নবনীর জীবনে একটা বিরাট ঘটনা আছে যে কারনে নবনীর বিয়ে হচ্ছিলো না। পাত্রপক্ষ দেখতে এসে পাত্রী পছন্দ করে যায় কিন্তু পরে চিঠি মারফত জানিয়ে দেয় তাদের ছেলে এখন বিয়ে করবেনা। এভাবে অনেকগুলা বিয়েই ভেঙ্গে গেছে।
আরও পড়তে ক্লিক করুন:- মৌরীফুল pdf download
নবনীর বড়মামা খুব গোছানো লোক। এবার তিনি ঢাকার এক পাত্র ঠিক করেছেন। আগে থাকতে কাওকে কিছু জানাননি যাতে লোক জানাজানি না হয়। উনার প্ল্যান ছিল রাতের বেলা এসে বিয়ে পড়িয়ে ভোরে ঢাকার ট্রেনে ওদের তুলে দেয়া।
শেষপর্যন্ত খুব জমকালোভাবেই নবনীর বিয়ে হলো। নবনীর বর নোমান সহজ সরল সাধারন মানুষ।তারপরেও নবনীর তাকে ভালো লাগে। বিয়ের পরদিন তারা ঢাকায় চলে এসে একরুমের একটা ছোট্ট বাসায় নিজেদের সংসার শুরু করে।
এই উপন্যাসের একটা গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হলো নবনীর ইতিহাসের টিচার। তিনি ছোটবেলায় এতিমখানায় মানুষ হয়েছেন। মাদ্রাসা লাইনে কলেজ পাশ করে স্কলারশিপ নিয়ে ভারতের আলিগড় ইউনিভার্সিটি থেকে এম.এ করেন। অল্প বয়স বলে নবনীরা তাকে ডাকতো চ্যাংড়া হুযুর। তিনি নবনীদের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
প্রথম জীবনে নবনী এই স্যারের প্রেমে পড়ে। স্যারকে চিঠি পাঠায়। স্যার চেষ্টা করেন এড়িয়ে যেতে। একদিন সেই স্যার এসে নবনীর বাবাকে বলে যে সে নবনীকে বিয়ে করতে চায়। নবনীকে তার পছন্দ, এবং সেও তাকে পছন্দ করে। একথা শুনে ওর বাবা খুব ক্ষেপে যায়। স্যার এর জিনিশপত্র রাস্তায় ফেলে দেয়। লোকজন জমে যায়। তারা তাকে মারধোর করে। তখন তিনি নবনী নবনী বলে কাতরাচ্ছিলেন। নেত্রকোনা হাসপাতাল থেকে জবাব দিয়ে দিলে ঢাকা নেয়ার পথে সে মারা যায়।
আরও পড়তে ক্লিক করুন:- লাভ ক্যান্ডি বই pdf download
এই ঘটনায় নবনী মানসিকভাবে অপ্রকৃতস্থ হয়ে যায়। বড় মামা তখন তাকে ঢাকায় রেখে চিকিৎসা করায়।যতদিন না সে সুস্থ হয় ততদিন পর্যন্ত কাওকে বাসার ঠিকানাও দেন না পাছে লোক জানাজানি হয়ে যায়
নবনী জানতো এটাই তার জীবনের ভয়াবহ ঘটনা। কিন্তু সে কি ঘূর্নাক্ষরেও জানতো যে তার জীবনে এর চেয়েও ভয়াবহ ঘটনা ছিল?
উপন্যাসের শেষের দিকে এসে নবনী সেটা জানতে পারে।
বন্ধুরা এই বইটি পড়ে আপনাদের কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।
One Comment