অনুচ্ছেদ রচনা

ইন্টারনেট অনুচ্ছেদ রচনা

রচনার নামঃ ইন্টারনেট

 

ইন্টারনেট

টেলিযােগাযােগ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য কম্পিউটারের মধ্যকার আন্তঃযােগাযােগের নাম ইন্টারনেট। এটি তথ্য স্থানান্তরের একটি দ্রুত পদ্ধতি। ১৯৬৯ সালে সর্বপ্রথম বিশ্বে ইন্টারনেট প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়। এর কাজ সূক্ষ্ম, সহজ ও দ্রুত। কোনাে লােক ইন্টারনেট সংযােগসম্পন্ন একটি ইলেকট্রিক যন্ত্র তথা মােবাইল কিংবা কম্পিউটারে ব্রাউজ করলে ইন্টারনেট সংযোেগ তাকে দ্রুত তার প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশের ও দেশের বাইরের কম্পিউটারের সাথে যােগাযােগ স্থাপনের সুযােগ করে দেয়। এটি আধুনিক বিশ্বে যােগাযােগের ক্ষেত্রে এক মাইলফলক। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে উপকৃত হচ্ছে। এর মাধ্যমে আমরা অনেকগুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাই। এটি ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করে।ইন্টারনেটভিত্তিক ই-কমার্স ভােক্তাদের নিকট খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কারণ ভােক্তারা
বাজারে না গিয়েই এর মাধ্যমে কোনােকিছু কিনতে কিংবা পছন্দ করতে পারে। তাছাড়া
এর সাহায্যে শিক্ষার্থীরা গ্রন্থাগারে না গিয়েও বই পড়তে পারে। বর্তমানে উন্নত বিশ্বের অনেক দেশে তারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেকোনাে স্থান থেকে তাদের ক্লাস লেকচার গ্রহণ করতে পারে। তাদেরকে আর শ্রেণিকক্ষে যেতে হয় না। বাংলাদেশে ইন্টারনেটআমাদের যােগাযােগ ব্যবস্থায় এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। সাম্প্রতিক কালের থ্রি-জি প্রযুক্তি আমাদের দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারে নতুন মাত্রা যােগ করেছে। ফলে মানুষ ঘরে বসেই অনেক আধুনিক সুবিধা উপভােগ করছে। বর্তমান সরকার আমাদের দেশেইন্টারনেটের অগ্রগতি বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button