ছাত্রজীবন রচনা (Class 6-10)
ছাত্রজীবন
শিক্ষার কোনো শেষ নেই । আমৃত্যু মানুষ শিক্ষালাভ করে থাকে। কিন্তু মানুষের সম্পূর্ণ জীবনটাকেই ছাত্র জীবন বলে না। ছাত্র
জীবনের নির্দিষ্ট কতকগুলো ক্ষেত্র রয়েছে। তাই শিক্ষার্থীদের স্কুল কলেজে ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত জীবনকেই ছাত্রজীবন বলে।
শিক্ষার্থীগণ যখন পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞানার্জনের জন্য কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত হয়ে থাকে, তখন তাদের জীবনই হলো ছাত্রজীবন ।
ছাত্রজীবনের সময়কালটাই মানুষের ভবিষ্যৎ গঠনের জন্য সর্বোত্তম সময়। তাই সমগ্র জীবন পরিসরে এই জীবনের মূল্য অত্যধিক ।
মানুষের জীবনটা যদি একটি বৃক্ষ হয় তাহলে ছাত্রজীবনটা হলো সেই বৃক্ষের মূল । মূল যত শক্ত হবে বৃক্ষও তত মজবুত হবে । ঝড়ে
বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে সে গাছ উপড়ে পড়বে না। মানুষের জীবনও সেরূপ, ছাত্রজীবন যত উন্নত হবে ভবিষ্যৎ জীবনের ভিতও তত মজবুত হবে । সমাজের নানা বাধাবিপত্তি তাকে টলাতে পারবে না। সুতরাং ছাত্রজীবনটাই সব চেয়ে মূল্যবান । ছাত্রছাত্রীদের জন্যে অধ্যয়নই হলো তপস্যা। তাদের আহার-বিহার, কার্জকর্ম সমস্তই এই বিশেষ লক্ষ্যে নিয়ন্ত্রিত হয়। কঠোর নিয়মের বন্ধনে শান্ত ও সংযত আবেষ্টনীর মধ্যে তাদের জীবন গড়ে ওঠে । গুরুজনের প্রতি বাধ্যতা, পরিশ্রম, নিয়মানুবর্তিতা প্রভৃতি গুণ থাকা তাদের অত্যন্ত স্বাভাবিক । এসব গুণ ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে আয়ত্ত করা বিশেষ কিছু নয়, কেবল অভ্যাস সাপেক্ষ। সংযম ছাত্রজীবনের বিশেষ গুণ। ভবিষ্যৎ জীবনে মনুষ্যত্বের একটি সুনির্দিষ্ট আদর্শ সামনে রেখে অগ্রসর হতে গেলেই সংযম অভ্যাস করা দরকার । খেলাধুলা, ব্যায়াম
প্রভৃতির প্রতি ছাত্রছাত্রীদের যেমন অকৃত্রিম অনুরাগ থাকবে, সেরূপ তার প্রকৃত কাজ যে জ্ঞান আহরণ সে কথাও ভুললে চলবে না ।
আদর্শ ছাত্রের কর্তব্য বিনয়, নম্রতা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে বিদ্যা অনুশীলন করা । তা নাহলে কখনও যথার্থ শিক্ষা লাভ সম্ভব নয় ।