কপালকুন্ডলা বুক রিভিউ
এখন আপনাদেরকে কপালকুন্ডলা বইটির রিভিউ সম্পর্কে জানাবো।
বইয়ের নাম : কপালকুন্ডলা
লেখকের নাম: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
বাংলা সাহিত্যের মধ্যে কপালকুন্ডলা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি রোমান্টিক একটি উপন্যাস। ঐতিহাসিক একটি প্রেমের কাহিনী নিয়ে উপন্যাসটি রচিত হয়েছে। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বাস্তব চরিত্রের সাথে মিল রেখে কিছুটা কাল্পনিক চরিত্রের মিশ্রণ দেখিয়েছেন এই উপন্যাসে। এই উপন্যাসের মধ্যে কপালকুন্ডলা জীবনে অনেক মহামূল্যবান চাওয়াকে বিসর্জন দিয়ে ভালোবাসার এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে এসেছিলেন। ‘কপালকুন্ডলা’! এই রকম নাম ও কি একাবার মানুষের হয়, এমন নামটাই তো মানুষের মনে প্রথমেই কৌতুহল জাগিয়ে তুলবে। পাগলের মত আমাদের মনে একটাই প্রশ্ন জাগবে কি এই অদ্ভুত নামের অর্থ। মানুষের মনে সবসময় অদ্ভুত জিনিস সম্পর্কে জানার জন্য আগ্রহটা বেড়ে যায়। তাদের চোখে সবসময় অদ্ভুত জিনিসটাই আটকে থাকে। কখনো কি কোন দিন গহীন জঙ্গলে আপনারা পথ হারিয়েছিলেন, যখন সবাই খুধার জ্বালায় কাতর, এমনাটা কি হয়েছিল আপনার সাথে যখন আপনি তাদের জন্য খাবার খুজতে গেলেন, তারপর এসে দেখলেন সবাই আপনাকে রেখে চলে গিয়েছে। তখন আপনি গহীন জঙ্গলে একা আটকে গেলেন। ঠিক হঠাৎ করে সেই সময় আপনার পিছন দিক থেকে একটা অচেনা ময়াবীনী কন্ঠস্ব ভেসে আসল এবং আপনার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে জিজ্ঞেস করল, পথিক তুমি এখানে কেন? তখন আপনি বললেন আমি পথ হারিয়ে এখানে আটকে আছি। তখন এক তান্ত্রিক আপনাকে বলে দিবে আপনি পূজার জন্য হারিয়েছেন। মোঘল আমলের সম্রাজের সাথে তান্ত্রিক,অন্যদিকে মায়াবিনী সেই কপালকুন্ডলা গল্পের সাথে নবকুমার কিভাবে সংযুক্ত ছিল? একই সঙ্গে প্রতিটি পৃষ্ঠাতে রয়েছে বাহারি রকমের সব শব্দের মেলা । এই বইটিতে একবার রয়েছে রোমান্টিক সব কাহীনী একবার ভৌতিক সব কিছু মিলিয়ে বাংলা সাহিত্যের মধ্যে প্রথম রোমান্টিক উপন্যাস টি হচ্ছে “কপালকুন্ডলা”। অনেকেই বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় নামটা শুনলেই চমকে উঠেন। তার কারণ তিনি তার গল্প ও উপন্যাসে ভারি শব্দের ব্যবহার করে থাকেন। জন্য যা এই উপন্যাসেও বিদ্যমান ছিল। সংস্কৃত, এই বইটির মধ্যে আরবি, ফারসি শব্দেরও ব্যাপক ব্যবহারও লক্ষ করেছিলাম। তবে আমার কাছে বঙ্কিম মানেই বিশেষ একটা কিছু আর বিভিন্ন শব্দের বাহারী রকম খেলা, যেটি আমার নিজের কাছে সবচেয়ে বেশী প্রছন্দের। তার বাংলা উপন্যাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রথম রোমান্টিক লাইন, “পথিক তুমি কি পথ হারাইয়াছো ” অথবা আশ্চর্য সেই রকম উক্তি, “তুমি অধম বলিয়া আমি কি উত্তম না হইবো না?”। ” কপালকুন্ডলা” বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর অন্যতম সৃষ্টির মধ্যে সবচাইতেই সেরা একটি উপন্যাস।
আরও দেখুন:- ক্রুসেড সিরিজ বুক রিভিউ।
শেষ কথা আশা করি আপনারা আমার এই রিভিউ টি পড়ে এই কপালকুণ্ডলা সম্পর্কে অনেক কিছু জেনেছেন সম্পর্কে । তবে আপনারা যদি এই পুরো বইটি পড়েন তাহলে আরো অনেক কিছুই জানতে পারবে। এই বইটি আমি অনেকবার পড়েছি আমার কাছে এটি খুবই ভালো লেগেছে।