হেলথ টিপস

ঘরে বসে ওজন কমানোর ১০টি সহজ উপায় জেনে নিন

এখন আমরা জানব ঘরে বসে কিভাবে অতি  দ্রুত ওজন কমানোর ১০টি সহজ উপায় সম্পর্কে।

কে না চায় নিজেকে ফিট রাখতে চায় । কেউ করেছেন প্রচুর দৌড়াদৌড়ি হাঁটাহাঁটি আর কেউবা জিমে। অনেকেরৱ ইচ্ছা তার নিজের শরীরের ভারসাম্য ঠিক রাখতে। যখন শরীরের উচ্চতা অনুযায়ী ওজন বেশি হয়ে যায় তখন শরীরের ভারসাম্য ঠিক থাকেনা। এখনকার সময় অধিকাংশ মানুষ ওভার ওয়েট জনিত সমস্যায় ভুগছেন। সবাই ভাবছেন কিভাবে নিজের শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে আনা যায়।

nbsp;

দ্রুত ওজন কমানোর জন্য ১০টি গুরুত্বপূর্ণ টিপস দেয়া হলো।

বেশি করে পানি পান করা:

আমাদেরকে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হয়। একটি মানুষের 4 থেকে 5 লিটার পানি খাওয়া জরুরি। বেশি পরিমাণে পানি পান করলে শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরে যায়। তাই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

হাটাহাটি করা:

আমরা প্রতিনিয়ত শুয়ে বসে থাকি সবসময়। তবে যদি আমরা শুধু খাই আর ঘুমোতে থাকি তাহলে এসো আমাদের শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমতে থাকে। আমাদের প্রতিনিয়ত প্রচুর পরিমাণে হাঁটাহাঁটি করা দরকার। খাবার আগে আধঘন্টা হাঁটা বা হালকা ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তুলুন।

 বেশি বেশি শাকসবজি খাওয়া:

যদি ওজন কমাতে হয় তাহলে আমাদেরকে প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি খেতে হবে। যদি আপনার খাবারের অর্ধেকই শাক সবজিতে থাকে তাহলে আপনার ওজন কমানো সম্ভব হবে।

সকালের  নাস্তা:

সকালের নাস্তা আপনাকে সাহায্য করবে সঠিক পথে দিন শুরু করার জন্য। এর জন্য সবচাইতে ভালো নাস্তা হচ্ছে যেগুলো আপনাকে অনেকক্ষণ পেট ভরা রাখতে পারবে। এজন্য সকালে ওটস খেতে পারেন থে দুটো ডিম একটি কুসুম ছাড়া আরেকটি কুসুমসহ। বাদাম এবং ফলমূল খেতে পারেন।

কপি  বা গ্রীন টি পান করা:

আপনি আপনার দিনটা শুরু করতে পারেন এক কাপ কফি দিয়ে। উপাদান হচ্ছে একটি প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক যা আপনার প্রস্রাবের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পারে। কফিতে রয়েছে ক্যাফিন এন্টিঅক্সিডেন্টের একটি ভালো উৎস । এটিশরীরের কোষকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে। কফি যদি আপনার ভালো না লাগে তাহলে গ্রিন টিও পান করতে পারেন। বিশেষ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যারা গ্রিন টি পান করে অন্যদের তুলনায় তাদের শরীরে 70 ক্যালরি বেশি খরচ হয়।

চিনি জাতীয় কোমল পানীয় বর্জন:

আমরা প্রতিনিয়ত ফলের জুস কোমল পানীয় পেপসি কোকাকোলা চিনিমিশ্রিত কফি ইত্যাদি পান করে থাকি। আপনি যদি এসবের মধ্যে কোন একটা দিনে পান করে থাকেন তাহলে রাতের মধ্যে আপনার শরীরে 700-800 ক্যালরির জমা হবে তারপর আপনার ক্ষুধা থাকবে। এতে করে আপনার শরীরে বাড়তি ক্যালোরি জমে থাকে আর এই ক্যালোরি পরবর্তীতে চর্বিতে রুপান্তর হয়।

 নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস গডে তোলা:

ব্যায়াম করলে আপনার শরীর চর্বিহীন হয় এবং মাংস বেশি আগে থেকে বেশি শক্তিশালী হয়। তাই ঘরে না বসে থেকেই জিমে গিয়ে দ্রুত ব্যায়াম শুরু করে দিতে পারেন। জিমে বা বাসায় নিয়মিত পুশআপ দেয়ার অভ্যাস তৈরি করুন। ধীরে ধীরে পুরো শরীরের উপর প্রেসার দিতে থাকুন।

চর্বিযুক্ত  খাবার ত্যাগ করা:

আপনারা তো জানেন ওজন কমাতে চাইলে অবশ্যই চর্বিযুক্ত খাবার কে না বলে দিতে হবে। কারণ আপনিতো চাইছেন শরীরের চর্বি কমাতে।
যেকোনো ধরনের চর্বিজাতীয় বা চর্বি যুক্ত খাবার খাওয়া বন্ধ করতে হবে। আর মাংস খাওয়ার সময় সবসময় চর্বি ছাড়া মাংস খাওয়ার চেষ্টা করুন।

সময়মতো ঘুমানো:

অধিকাংশ গবেষণায় দেখা গেছে অপর্যাপ্ত ঘুম শরীরের মেটাবলিজম ধীর করে ফলে ওজন বৃদ্ধি করে দেয়। এজন্যই রাতে অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তোলা দরকার। আপনি যদি রাতে বেশি ঘুম না যান যতক্ষণ জেগে থাকবেন আপনারা খাবার তত বেশি করে খাবেন এতে করে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার আসংখ্যা থাকে। তাই ওজন কমাতে চাইলে সময় মতো ঘুমিয়ে যাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button