টেকনোলজি
স্মার্টফোন এর কোন ডিসপ্লে সবচেয় ভালো, ডিসপ্লে কত প্রকার
হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো আছেন। এখন আপনাদেরকে জানাবো স্মার্টফোনের কোন ডিসপ্লে সবচাইতে ভালো এই সম্পর্কে।
আমরা সকলেই কিন্তু স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকি ৷ এখন আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে সবাই স্মার্টফোন ব্যবহার করছে আবার অনেকেই কিন্তু অনেক ধরনের ডিসপ্লে পছন্দ করে থাকেন। স্মার্টফোন এ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কোম্পানির স্মার্টফোনগুলোতে অনেক ধরনের ডিসপ্লে দেখে থাকি যেমন – LCD , IPS , OLED , AMOLED , Super AMOLED , Super AMOLED Plus , Dynamic AMOLED , Fluid AMOLED , Super Retina XDR OLED ইত্যাদি পেনেলগুলো স্মার্টফোন এ দেখে থাকে৷ এই ডিসপ্লে টেকনোলজি নিয়ে এখনও কিছু কিছু মানুষ জানে না। তাদের জন্য শুধু স্মার্টফোন এর ডিসপ্লে সম্পর্কে বেসিকভাবে বুঝিয়ে দিব। বর্তমান এ স্মার্টফোন এর ডিসপ্লেগুলোকে বেসিক এর দিক দিয়ে চিন্তা করলে 2 ধরনের ডিসপ্লে টেকনোলজিতে ভাগ করা যায়। প্রথম টা হচ্ছে LCD এবং দ্বিতীয়টা হচ্ছে OLED ডিসপ্লে।
ভিডিওঃ
LCD (liquid crystal display) হচ্ছে একটা মাদার টেকনোলজি এবং প্রাইমারি ডিসপ্লে টেকনোলজি বলা যায় এবং OLED (Organic Light-Emitting Diode) হচ্ছে মাদার টেকনোলজি এবং LED টেকনোলজির ডিসপ্লে । LCD এবং LED সম্পর্কে জানলেই পুরো ডিসপ্লে সম্পর্কে জানা যাবে। LCD ডিসপ্লেগুলোর পিছনে Fluorescent light লাগানো থাকে যেগুলোকে ব্যাকলাইট বলা হয়। আর LED ডিসপ্লেগুলোর পিছনে Light Emitting Diode বা LED light লাগানো থাকে। আধুনিক স্মার্টফোনগুলোতে যে LCD ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয় সেগুলোকে LCD LED ডিসপ্লে বলা হয়। কারণ এই LCD ডিসপ্লেগুলোতে LED light লাগানো থাকে Fluorescent light লাগানো থাকে না।
Table of Contents
সম্পর্কে বে .LCD এবং OLED ডিসপ্লেরসিক কিছু ধারণা
LCD ডিসপ্লের অনেকগুলো টাইপ আছে এবং এই টাইপগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ডিসপ্লে হলো IPS ডিসপ্লে। আরেকটি LCD ডিসপ্লে আছে যা আমরা স্মার্টফোন এ দেখে থাকি সেটিহলো TFT প্যানেল। এছাড়াও আরো অনেক প্যানেল আছে যেগুলো আমরা কম্পিউটার মনিটর এ দেখে থাকি। IPS ডিসপ্লের পিক্সেলগুলোর পিছনে বড় বড় লাইট থাকে যা পিক্সেলগুলোকে আলোকিত করে। IPS ডিসপ্লের কিছু সুবিধা আর অসুবিধা আছে সেগুলো হলো – সুবিধা : i.Colour accurate যারা এডিটিং করে তারা IPS ডিসপ্লে ব্যবহার করে। কারণ IPS ডিসপ্লর Colour accurate OLED ডিসপ্লের থেকে বেশি। ii. Comparatively cheap অসুবিধা : i.Cannot produce pure black কারণ IPS একটি LCD প্যানেল আর LCD প্যানেল এর পিছনে Fluorescent light অথবা LED light লাগানো থাকে পুরো ডিসপ্লে জুড়ে আর যখনি কোনো একটা পার্টিকুলার পার্টকে ব্ল্যাক বানাতে হয় তখনই তার আশেপাশের কোনো একটা লাইট অফ হয়। কিন্তু সাইড এর লাইটগুলো থেকে কিছু আলো আসে যার ফলে ওই পার্টটাকে Pure Black দেখায় না। ii.Comparatively bad viewing angle (OLED এর থেকে IPS এর viewing angle খারাপ) OLED ডিসপ্লের অনেকগুলো টাইপ আছে।
যেমন – AMOLED , Super AMOLED , Super AMOLED Plus , Dynamic AMOLED , Fluid AMOLED , Super Retina XDR OLED ইত্যাদি। OLED টেকনোলজিতে প্রত্যেকটা পিক্সেল এর জন্য আলাদা আলাদা লাইট থাকে। AMOLED (Active-Matrix Organic Light-Emitting Diode) এর ওপর লাইসেন্স আছে শুধুমাত্র Samsung এর যদিও Samsung এই টেকনোলজিকে কিনে OLED প্যানেলকে ইমপ্রুভ করে AMOLED নামকরণ করেছে। AMOLED ডিসপ্লের লাইসেন্স টা শুধু Samsung এর কাছেই আছে। Super AMOLED ডিসপ্লে AMOLED এর ডিসপ্লের থেকে অনেকটাই ইমপ্রুভ। Super AMOLED Plus ডিসপ্লে Super AMOLED এর ডিসপ্লের থেকে কিছুটা ইমপ্রুভ করা হয়েছে। Dynamic AMOLED ডিসপ্লে মূলত super AMOLED এর ডিসপ্লের মতোই শুধু কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। Dynamic AMOLED প্যানেল এ Blue Light এর আধিপত্য একটু কম। Blue Light চোখের জন্য ক্ষতিকর এইটা মোটামুটি আমরা সবাই জানি। Dynamic AMOLED কিছুটা Colour accurate এবং HDR 10+ certifications আছে। AMOLED , Super AMOLED , Super AMOLED Plus , Dynamic AMOLED এগুলো হচ্ছে Samsung এর টেকনোলজি। Fluid AMOLED প্যানেল মূলত একটি Dynamic AMOLED প্যানেল। কিন্ত Oneplus এই Dynamic AMOLED প্যানেল এ 90Hz , 120Hz Refresh Rate যুক্ত করার কারণে প্যানেল টা অনেকবেশি Fluid ও Smooth হয়েছে ।তাই Oneplus এই প্যানেলকে Fluid AMOLED নাম দিয়েছে। Apple এই Dynamic AMOLED প্যানেলকে কিছুটা colour টুইক এবং নিজস্ব কিছু ফিউচার যুক্ত করে Super Retina XDR OLED নাম দিয়েছে। OLED ডিসপ্লের কিছু সুবিধা আর অসুবিধা আছে সেগুলো হলো – সুবিধা : i.Less power , ii.Pure black Power কম consump হয় কারণ এই ডিসপ্লেতে কোনো একটা পার্টিকুলার পার্টকে ব্ল্যাক দেখালে ওই পার্ট এর পিক্সেলগুলোর লাইট অফ হয়ে যায় যাতে pure black দেখায় এবং power কম consump হয়। যেমন Always on display এর যে অংশটুকু লাইট জ্বলে শুধু ওই জায়গাতেই লাইটগুলো অন থাকে বাকি পিক্সেলগুলোর লাইট অফ থাকে। তাই always on display শুধু OLED প্যানেল এই দেওয়া সম্বব। অসুবিধা : i.Not very colour accurate OLED ডিসপ্লের colour একটু saturated হয়ে থাকে এবং Reallife এর colour গুলো থেকে ভিন্ন থাকে। তাই যারা creative কাজ করে তারা IPS display ব্যবহার করে। ii.Cannot show pure white কিছু কিছু OLED প্যানেল pure white colour দেখাতে পারে না। expensive OLED প্যানেলগুলো IPS প্যানেল এর থেকে বেশি দামী।
কারা OLED ডিসপ্লে ব্যবহার করলে সুবিধা পাবেন
যারা একটু saturated colour পছন্দ করে , চোখে দেখতে ভালো লাগে তাদের জন্য।
IPS ডিসপ্লেগুলো কাদের জন্য
যারা creative কাজ করে , এডিটিং এর কাজ করে তাদের জন্য। তবে স্মার্টফোন এ OLED ডিসপ্লে ভালো। স্মার্টফোন দিয়ে সাধারণত creative কোনো কাজ করা হয় না। তাই চোখে দেখতে OLED ডিসপ্লেই ভালো লাগে। স্মার্টফোন এ IPS এর থেকে OLED প্যানেল অনেক দিক থেকেই বেটার।
শেষ কথা আশা করি সবাই এটি পড়ে ডিসপ্লে সম্পর্কে অনেক ধারণা পেয়েছেন।এই কনটেন্টটি কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
2 Comments