কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন
হ্যালো বন্ধুরা, আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি কল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিশেষ গুরুর্তপূর্ণ কিছু জানা-অজানা তথ্য। তাই আর দেরি না করে শুরু করা যাক।
কলা আমাদের দেশে একটি খুবই জনপ্রিয় ফল। কলা বিভিন্ন গুনা গুণে ভরপুর। গলা খুবই সহজলভ্য এবং সচরাচর পাওয়া যায়। তাই প্রতিদিন ছোট বড় সকলের একটি করে কলা খাওয়া খুবই দরকার। কলাতে উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম ম্যাগনেশিয়াম ইত্যাদি বিদ্যমান।
Table of Contents
কলার উপকারিতা ও অপকারিতার নিম্নরুপ:
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
কলাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি 6 রয়েছে। এটি শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো এসিড সৃষ্টি করে। এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ ঠিক রাখে এবং হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করে। অর্থাৎ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কলার উপকারিতা অতুলনীয়।
ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধিতে
কলার চামড়ায় এমন পরিমাণে ফ্যাটি উপাদান আছে এটি ত্বকে গসলে মশ্চারাইজার এর মত উপকার পাওয়া যায়। অনেকে আবার ব্রণ দূর করার জন্য কলার চামড়ার ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু সব ধরনের ত্বকের জন্য এটি কাজ নাও করতে পারে। তবুও আপনারা বাসায় চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
শরীরের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৃদ্ধিতে
কলা হচ্ছেএন্টি- অক্সিডেন্টের দারুণ উৎস। এই এন্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ধরনের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে । বেশি পরিমাণে কলা খাওয়া দরকার।
হজম ক্ষমতা বৃদ্ধিতে
আয়ুর্বেদিক শাস্ত্র অনুযায়ী কলার ভিতরে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা পাচকরসের ক্ষরণ কে বাড়িয়ে তোলে। তার ফলে শরীরে হজম প্রক্রিয়া বেড়ে যায়। শরীরের ক্ষতিকর টক্সিন উপাদানগুলো বের করে দেয়ার মধ্য দিয়ে দেহের প্রতিটি অঙ্গ কে চাঙ্গা রাখতে কলার কোন বিকল্প হয় না। কলাতে রয়েছে প্র্যাকটিক
নামের একটি উপাদান। এটিশরীরের মধ্যে ঢোকা মাত্রই ক্ষতিকর উপাদান এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে।
আরও দেখুন:-ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন।
শারীরিক শক্তি যোগাতে
কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে কার্বোহাইডেট। আমরা যাকে শর্করা ও বলে থাকি। এটি শরীরের মধ্যে দীর্ঘক্ষন শক্তি জাগিয়ে রাখতে সাহায্য করে। কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি। একটি মাঝারি কলাতে প্রায় 220 ক্যালোরির মত থাকে।আমরাহয়তো অনেক খেলাধূলায় দেখে থাকি খেলোয়াড়রা খেলার মধ্যে কলা খেয়ে থাকেন। তাই কলা এনার্জির খুবই ভালো উৎস।
কিডনি সুস্থতায় কলা
কলার মধ্যে থাকা পটাশিয়াম কিডনি ভালো রাখতে সাহায্য করে। । ইউরিনে ক্যালসিয়াম জমতে বাধা দেয় বলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। এর ফলে শরীরের হাড় মজবুত হওয়ার জন্য আরও বেশি ক্যালসিয়াম বরাদ্দ থেকে যায়।
হৃদপিণ্ড সুস্থতায়
পাকা কলা পটাশিয়ামের একটি অন্যতম উৎস। প্রতিদিন একটি বা দুটি করে কলা খেলে আমাদের হৃদযন্ত্র অনেক বেশি সচল থাকবে এবং হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যাবে।
মানসিক চাপ কমিয়ে সুনিদ্রায় সাহায্য করে
কলার মধ্যে রয়েছে ট্রিপটো নামক অ্যামিনো এসিড যা সেরোটোনিনে পরিবর্তিত হয়। দ্বীনের সঠিক মাত্রা আপনার মুড ঠিক রাখবে এবং মানসিক চাপ কমাবো। এতে করে আপনার ঘুম ভালো হতে সাহায্য করবে।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
সাম্প্রতিক বিশেষ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যারা অতিরিক্ত পরিমাণে পাকা কলা খায় তাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ TNF-A নামক এক ধরনের যৌগ সরবরাহ হয়ে থাকে। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং তার পাশাপাশি শ্বেত রক্ত কণিকার পরিমাণ বাড়ায়। করে ব্লাড ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।
অ্যানিমিয়া রোগের প্রকোপ কমাতে
কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা শরীরের লোহিত রক্তকণিকার মাত্রা বৃদ্ধি রায়ের মধ্য দিয়ে অ্যানিমিয়ার প্রকোপ কমাতে ও বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। যারা প্রতিনিয়ত এই সমস্যায় ভুগছেন তারা আয়রন ট্যাবলেট এর পাশাপাশি যদি নিয়ম করে কলা খেতে পারেন তাহলে কিন্তু দারুণ উপকার পেতে পারেন
ওজন নিয়ন্ত্রণে
কলার মধ্যে পটাশিয়াম এর পাশাপাশি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এখন পেটের খুদা কে নিয়ন্ত্রণ করে রাখে। ফলে খাওয়ার পরিমাণ কমতে থাকেষ। আপনারাতো জানেনই কম খেলে শরীরের ওজন কমতে থাকে। কনস্টিফেনসন এর মত রোগ সারাতে ও ফাইবার বিশেষভাবে কাজ করে।