(দাম ও খাওয়ার নিয়মসহ) গ্রিন টি এর উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন
হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো আছেন। এখন আমরা গ্রিন টি এর বিশেষ কিছু উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়মসহ, দাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
আমরা সবাই তো টি পছন্দ করি, আর সেটা যদি হয় গ্রিন টি তাহলে তো কোনো কথাই নেই। এটির সাথে আমরা হয়তো কোন না কোনভাবে পরিচিত। আমরা সকলে কম বেশি অনেকেই জানি যে গ্রিন টি শরীর-স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী একটা জিনিস। আমাদের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে এটি কীভাবে সাহায্য করে আপনারা কি তা কখনও জেনেছেন। আসুন এখন আমি আপনাদেরকে জানাবো গ্রিন টি থেকে কী কী ধরনের উপকার ও অপকার পাওয়া যেতে পারে।
ভিডিও
Table of Contents
উপকারিতাঃ
ওজন নিয়ন্ত্রণ করে:
গ্রিন টি’ খাবার থেকে ক্যালোরি তৈরির প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। এতে থাকা পলিফেনল শরীরের ফ্যাট অক্সিডেশন প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর করে করে তোলে। এতে করে দেহে অতিরিক্ত পরিমাণে চর্বি জমতে পারে না।ধ গবেষণারোো্ মাধ্যমে দেখা গিয়েছে যে, এটি প্রতিদিন নিয়মিত খেলে এক প্রায় ৭০ ক্যালোরি পর্যন্ত ফ্যাট শরীর থেকে বার্ন করতে সক্ষম। বিশেষজ্ঞদের মতে নিয়মিত গ্রিন টি খেতে পারলে বছরে শরীরের বাড়তি ওজন কমানো সম্ভব।
ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে:
আমাদের রক্তের গ্লুকোজ-এর মাত্রা গ্রিন টি রাখতে সাহায্য করে।এটি খাওয়ার পরে রক্তের মধ্যে শর্করার মাত্রা অনেক বেড়ে যায়। গ্রিণ টি প্রত্যক্ষ ভাবে সাহায্য করে রক্তের শর্করার মাএা নিয়ন্ত্রণে। তাই এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে খুবই কার্যকরী একটি উপাদান।
আরও দেখুন:- ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন।
অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন
গ্রিন টি এর দাম:
আমাদের বাংলাদেশে গ্রীন টি এর দাম কিন্তু বেশি না সর্বনিম্নগড় কেজি ৭০০টাকা এবং সর্বোচ্চ ৩২০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়:
গ্রিন টি হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে । বিভিন্ন গবেষণা চালিয়ে দেখা গিয়েছে যে, শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে অনেক সাহায্য করে থাকে। শুধুই তাই নয়, গ্রিন টি দেহে রক্ত জমাট বাধতে বাধাগ্রস্থ করে । এর পাশাপাশি গ্রিন টি শরীরের মধ্যে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রাকে হ্রাস করতেও অনেকটা সাহায্য করে থাকে । এর ফলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভবনাও অনেকটাই কমিয়ে আনে।
খাদ্যনালির ক্যান্সার রোধ করে:
গ্রিন টিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনল নামক একটি উপাদান, যেটি ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে থাকে। খাদ্যনালির ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে গ্রিন টি অনেক সহায়তা করে। এছাড়াও এটি কোনো ক্ষতি না করে ভালো কোষগুলোর সার্বিকভাবে ক্যান্সারের কোষ নির্মূল করে থাকে।
দাঁত ভালো রাখতে :
গ্রিন টি’র ‘ক্যাটেকাইন’ নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট(anti-oxident) মুখের ভিতরের বিভিন্ন ধরনের ব্যকটেরিয়া ও ভাইরাসকে ধ্বংস করে ফেলে। যেটি দাঁতের বিভিন্ন ধরনের সমস্যাও গলার ইনফেকশন কমিয়ে আনে। এছাড়াও এটি ডেন্টাল ক্যাভিটিস প্রতিরোধ করে এবং ওরাল ব্যাক্টেরিয়াকে ধ্বংস করে দেয়।
ডিপ্রেশন দূর করতে :
থিয়ানিন’ নামের এই অ্যামাইনো এসিড প্রকৃতিকভাবেই চা পাতার মধ্যে পাওয়া যায়।দুশ্চিন্তা ও হতাশা কমাতে এই উপাদানটি দারুনভাবে সাহায্য করে থাকে। তাই টেনশন থেকে মুক্তি পেতে হলে নিয়মিত গ্রিন টি পান করতে হবে।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করে:
খাবার জমে মুখের মধ্যে একধরনের ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়। এই ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। আপনি এই গ্রিন টি প্রতিদিন খাবার পরে পান করতে পারেন,যেটি মুখের মধ্যে ব্যাকটেরিয়া তৈরিতে বাধাগ্রস্থ করবে।
আরও দেখুন:- লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা।
প্রতিদিন সকালে মধু খাওয়ার ১০টি উপকারিতা জানুন ($$)
ত্বকের মরা চামড়া দূর করতে:
১ কাপ চিনি,১ টেবিল চা-চামচ শুকনো গ্রিন টি, আধা কাপ অলিভ অয়েল এবং ২ টেবিল চা-চামচ মধুকে একসঙ্গে মিশ্রিত করে স্ক্রাব হিসেবেও মুখে লাগানো যায় । একদম চিনি গলে না যাওয়া পর্যন্তচ ক্রাকারে ম্যাসাজ করতে থাকুন। তাপর কিছুক্ষণ পর কুসুম গরম পানি দিয়ে তা ধুয়ে ফেলুন।
মস্তিষ্কের কার্যকরীতা বৃদ্ধিতে:
গ্রীন টি এর কাজ মস্তিষ্ককে সবসময় সচল রাখাই যে তা কিন্তু নয়। গ্রীন টিএর অন্যতম একটি উপকারিতা হচ্ছে অকাল বার্ধক্যের হাত থেকে মস্তিষ্ককে রক্ষা করা। আধুনিক বিশ্বের মধ্যে অন্যতম।
অপকারিতা :
গ্রিন টিতে ক্যাফিন এর মাএা অনেক বেশি থাকে, যেটি কর্টিসল এবং অ্যাড্রেনালিনের মতো স্ট্রেস হরমোনগুলিও প্রকাশ করে যা রক্তচাপ এবং হার্টের সমস্যাকে বাড়িয়ে দেয়।তাই হৃদরোগীদের জন্য গ্রিন টি একদম ভালো নয়। আপনার হার্টবিট যদি দিনে আগের থেকে কয়েকগুন বেড়ে যায় এবং রক্তচাপও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তবে এই ধরনের লোকদের গ্রিন টি কম খাওয়া উচিৎ।
আপনারা হয়তো এটি পড়ে জেনে গেছেন গ্রিন টি এর উপকারিতার বিষয়ে। এটি আপনাদের কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।
One Comment