অরিজিনাল হেডফোন চেনার ১০টি উপায় জানুন
হ্যালো বন্ধুরা, এখন আমরা জানবো কম দামে ভালো অরিজিনাল হেডফোন চেনার উপায়গুলো।
আমাদের মধ্যে অনেকের কাছেই ব্র্যান্ড এর অরিজিনাল হেডফোন নেই। ভালো ব্র্যান্ড এর অরিজিনাল হেডফোন দিয়ে গান শোনার মজাটাই আলাদা। সাধারণত বাজারেৱ কিনতে পাওয়া হেডফোনেৱ মধ্যে ওরকম মজা পাওয়া যাবে না। এর ফলে আপনার মোবাইলে অথবা ডিভাইস এ ভাল সাউন্ড কোয়ালিটি সিস্টেম থাকাৱ সত্তেও আপনি গান শোনে ভালোভাবে মজা পাবেন না।
আজ আপনাদেরকে পরিচয় করে দিব এমন একটি হেডফোন এর সাথে যা থেকে আপনি পাবেন-
• সাউন্ড কোয়ালিটি পুরো ব্র্যান্ড এর অরিজিনাল হেডফোনের মত
• অসাধারন BASS
• দাম সস্তা
Brand name: Huwaei
অনেকেই হয়ত হেডফোনের সাথে পরিচিত। আমি এই হেডফোনের অনেক বড় ফ্যান 2012 সাল থেকে।
এই কম্পানির অনেক মডেল এর হেডফোন রয়েছে তার মধ্যে আমাদের দেশে বেশিরভাগ পাওয়া যায় সবচাইতে ভাল যেটা এই হেডফোনের সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিব।
(১ )ইন-এয়ার টাইপ হেডফোনঃ
আমাদের সসবার আগে জেনে নেয়া ভালো যে, ইন-এয়ার হেডফোন দুধরনের। যথা: একটি যা কানের ভিতরে ঢুকিয়ে দেয়া হয় বা এয়ার বাডস। আর অন্যটি আমাদের কানের ক্যাভিটির ভেতর থাকে। এই দুইটির মধযে আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট রয়েছে। যে হেডফোন কানের বাহিরের অংশের ওপর থাকে বা আমরা বলতে পারি, ক্যাভিটি-এয়ারফোন/হেডফোন; এটি যদি কানের থেকে একটু বড় হয় বা কানে যদি বেশী চাপ পড়ে তবে আপনার যেকোনো ধরনের সমস্যা হতে পারে ।
আর অন্যদিকে, এয়ারবাডস খুবই কমপ্যাক্ট একটা হেডফোন । এটি খুব সহজেই কানের ভেতর ফিট করে যায়। বাহিরের নয়েজও কম আসে। তবে অনেকের কাছে কানের ভেতর এরকম কিছু ঢুকিয়ে দেয়া হয়ত খারাপও লাগতে পারে।
আমার কাছে সাধারনভাবে ইউজ করার জন্য এয়ারবাডস হেডফোন গুলোই আমি সবচাইতে বেস্ট মনে করি । আপনার কাছে কোনটা ভাল লাগে, নিচে কমেন্টে জানান। তবে আপনি যদি কাজে প্রায়শই হেডফোনের ব্যবহার করে থাকেন তবে অবশ্যই ক্যাভিটি-এয়ার হেডফোন ব্যবহার করা আাপনার জন্য উওম।
আরও জানুন:- পকেট রাউটার কি:দাম,কিভাবে কাজ করে,ব্যবহারের নিয়ম,সুবিধা
তার কারণ এটা আপনাকে খুবই ভালো সাউন্ড কোয়ালিটি দিতে পারবে। এবং এই হেডফোনটি আপনার কানের মাপমত হয়ে গেলে এতে করে আপনার কোনো সমস্যা হবেনা আশাকরি ।এইসব হেডফোনের সাউন্ড যদি বাইরে আসে ; তবে আপনি ভলিউম কমিয়ে দেবেন,এতে করে বাইরের নয়েজ কমে যাবে। অথবা আপনি হেডফোনটি কানে একটু ফিটিং করে পরতে পারেন, তাহলে সমস্যা পড়তে হবে না।
(২) অন-এয়ার টাইপ হেডফোন:
এটিও দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি আগের মত আপনারৱ কানে প্রেস করা হয় এবং আরেকটি কানকে ঢেকে রাখে বা চেপে রাখতে সক্ষম ।প্রথমটি অনেক লাইট খুবই লাইট ওয়েট বা বলতে গেলেও অনেকটাই হালকা। তবে এক্ষেত্রে অন্যটি বড় ও ভারী হয়ে থাকে। আপনি যদি প্রথমটি আপনার কানে ভালোভাবে লাগান; তবে আপনার কোনো ধরনের সমস্যা হবে না । হালকা হওয়ার কারণে এটি খুবই সহজেই বহন যোগ্য । তবে অনেক ক্ষেত্রে এটার বিপরীত ঘটে ছেলেরা স্টাইল এর জন্য দ্বিতীয়টার অনেকটাই বেশী ব্যবহার করে। এই দ্বিতীয় টাইপের হেডফোনটি আপনার কানের ৯৫% অংশই ঢেকে রাখে তাই শীতের সময় এডভান্টেজ সুবিধা পেতে পারেন বলে আশা করা যাচ্ছে। তবে এই দুরকম এর অন-এয়ার হেডফোনই কাজের জন্য খুবই আদর্শ বলে মনে করি। এগুলো বাইরের সাউন্ডকে ব্লক করে ফেলে । যদি ভালো মানের গুলো কিনেন তাহলে এগুলি আপনার কানের কোনো ক্ষতিকর করবেনা।
তবে পরিশেষে একটা কথাই বলবো যদি ভালো কোয়ালিটি সাউন্ড পেতে চান এবং ভালো কোন সাউন্ড উপভোগ করতে চান, তবে আপনাকে ভালো মানের হেডফোন কিনতে হবে। হেডফোন কিনার সময় উপরোক্ত বিষয়গুলো খেয়াল করে এই হেডফোন কিনবেন।
One Comment