অন্যান্য তথ্য

ডিজিটাল মার্কেটিং কি, ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রয়োজনীয়তা

এখন আমরা জানব ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিশেষ কিছু প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে।

আমাদের দেশে ডিজিটাল মার্কেটিং এর এর তুলনামূলকভাবে চাহিদা অনেক কম হলেও সাড়া বিশ্বে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে । অনেক ব্যবসায়ী ব্যবসায়ের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিংকে প্রয়োজনই মনে করেনা । অথচ কোনো ব্যক্তি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রয়োগ সঠিকভাবে করতে পারে তাহলে সে অনেক নতুন নতুন নতুন কাস্টমার সৃষ্টি করতে পারবে এবং বাজারে প্রতিযোগীদের সাথে সে অনেক সহজেই প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম হবে। আবার কেউ ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে বুঝে ফেসবুকে মার্কেটিং করা, অন্যদিকে ফেসবুক মার্কেটিং বলতে বুঝি ফেসবুক এ অ্যাডকে (বুস্ট) দেওয়া , ফেসবুকে এর মাধ্যমে অ্যাড দেয়া বলতে কত বেশি রিইচ ( Reach)করা যায় আমরা তা বুঝি, 😆😆😆 প্রথমেই আমরা এই পুরো বিষয়টার দিকে কিন্তুু একদমই নজর দিচ্ছি না। আবার আমরা এই বিষয়টাকে ঘুরিয়ে পেচিয়প অন্য দিকে নিয়ে যাচ্ছি।

ডিজিটাল মার্কেটিং ভিডিও:

এখন ডিজিটাল মার্কেটিং এর কিছু প্রয়োজনীয়তা জানব।

pic ডিজিটাল মার্কেটিং
pic -ডিজিটাল মার্কেটিং

দিন দিন ভোক্তারা ডিজিটাল হয়ে উঠছেঃ

সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তির অনেক উন্নতি ঘটছে এরই মাঝে পণ্যের ভোক্তার মধ্যে অনেক পরিবর্তন হচ্ছে।এখন ভোক্তারা প্রতিটি পণ্য সামগ্রী কেনার আগে সে দেখতে চায় সেই পন্যটির কোয়ালিটি কেমন হয়েছে, পণ্যটি ভালো কিনা, পণ্যটি ব্যবহার করলে কি রকম সুযোগ সুবিধা পাওয়া যেতে পারে, অন্য কেউ এই পণ্যটি ব্যবহার করে উপকৃত হচ্ছে কিনা সাধারণ জনগনের মনে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন জাগতে পারে। আর এই প্রশ্নের সমাধানের জন্য মানুষ নিজের মুঠোফোন অথবা আধুনিক কম্পিউটারের মাধ্যমে বিষয়টা জানতে পারে। অনেক আগে একটা সময় ছিল যে এই প্রশ্নগুলো ভোক্তা জানতে চাইলেও কিন্তুু সহজে জানতে পারতোনা। এখন কম সময়ে মধ্যে ফেসইবুক বা গুগলের মাধ্যমে মানুষ সহজেই কোনো পণ্য সম্পর্কে জানতে পারে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে পণ্যগুলোর ভালো রিভিউ দেখে ভোক্তারা পণ্য কেনার প্রতি আগ্রহী হয়। ভোক্তারা পণ্য ক্রয় করার আগে কিন্তুু ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যবহার করছেন এজন্য ভোক্তাকে সেই পণ্যের কাছে পৌছাতে হলে তাকে অবশ্যই ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে । আপনি চাইলে আপনার পণ্যকে ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে ভোক্তার নিকটে পৌছে দিতে পারবেন। কেননা এখন রয়েছে অনেজ উন্নত মাধ্যম। আপনি চাইলেই আপনার পণ্যকে এবং ব্র্যান্ডকে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার বা উপস্থাপন করতে পারবেন যেমন: গুগল, ফেসবুক, টুইটার,ইন্সটাগ্রাম বা ইউটিউব। কাস্টমাররা আপনার ব্রান্ড বা পণ্য সামগ্রী সম্পর্কে যদি জানতে চায় তাহলে যেন তারা অতি সহজেই খুজে পায়। এর মাধ্যমে পণ্যের বিক্রয় বৃদ্ধি পাবে এবং ব্যবসায়ের অনেক উন্নতি হবে। ২০২১ সালে ভোক্তারা পণ্যের রিভিউ এর দিকে অনেক বেশি নজর দিতে পারে। তাই এ বিষয়ের দিকে আগে থেকে ভেবে নেওয়া উচিৎ।

অনেক অল্প খরচের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রয়োগ করা যায়ঃ

সনাতন প্রচলিত মার্কেটিং পদ্ধতির সাথে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সবচেয়ে বড় ধরনের পার্থক্য হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে খুব কম খরচের মাধ্যমে কোনো ব্যবসায়ী তার ব্যবসায়কে কাঙ্ক্ষিত কাস্টমারের কাছে পৌছিয়ে দিতে সাহায্য করে । প্রচলিত সনাতন লোকাল মার্কেটিং পদ্ধিতে যদি আপনি আপনার পণ্যকে লক্ষ কোটি কাস্টমারের কাছে পৌছাতে চান তাহলে সেই খরচটি হবে অনেক ব্যয়বহুল। আর যদি একটি ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে অথবা একটি ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে আপনার কাঙ্খিত পণ্যটিকে লক্ষাধিক কাস্টমারের কাছে খুব সহজে পৌছাতে অনেক সহজ হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের অ্যাডের সাহায্যে অল্প কয়েক ডলার খরচ করার মধ্য দিয়ে দেশে হাজার হাজার মানুষের কাছে পণ্য সম্পর্কিত সঠিক তথ্য পৌছে দিতে কাজ করছে বিভিন্ন ধরনের ই-কমার্স কোম্পানী। সেটাও আবার বয়স নানান ধরনের পেশা, অধিক ইন্টারেস্ট এসবের মাধ্যমে টার্গেট করে সঠিক ব্যক্তিদের কাছে সবকিছু এখন পৌছানো যাচ্ছে। এজন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর এই সুযোগ হাতছাডা করছেননা পৃথিবীর সকল ধরনের ছোট বড় বানিজ্যিক কোম্পানীও। আপনি কেন বসে থাকবেন আপনিও এই সুযোগটা কাজে লাগান।

আরও জানুন:- স্মার্টফোন এর কোন ডিসপ্লে সবচেয় ভালো, ডিসপ্লে কত প্রকার

অনেক দ্রুত ট্র্যাক করা যায়ঃ

pic digital markating strategy
pic -digital markating strategy

মার্কেটিং শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে মার্কেটিং এর রেজাল্ট অতি সহজেই ট্র্যাক(Track) করতে হয়। মার্কেটিং এর প্রতিটি পদক্ষেপ কেমন হচ্ছে, কতটুকু সফলতা আসল, সব ধরনের পণ্য বা সার্ভিস কাস্টমারের ভালো লেগেছে কিনা, ইত্যাদি সম্পর্কিত বিষয় খুব তাড়াতাড়ি জানতে পারবেন ডিজিটাল মার্কেটিং এর আধুনিক ট্র্যাকিং সিস্টেম এর সাহায্যে । যদি আপনি আপনার একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেন তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন একটি অংশ হচ্ছপ এসইও(SEO) করতে হবে। যদি আপনি এসইও করেন এ² এস²ও করার মা করেন তাহলে অনেক সহজেই ভিজিটর পেয়ে যাবেন এবং সেই ভিজিটরকে গুগল এনালাইটিকের মাধ্যমেও ট্র্যাক করে নিতে পারবেন। এসইওর মানে হচ্ছে আপনার এই পদ্ধতিটি কি পরিমাণ মানুষকে আপনার কাছে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে তা জেনে নিতে পারবেন এবং এটির ফলাফল কি হয়েছে তা অনেক সহজেই জানতে ও বুঝতে পারবেন।

এরপর মার্কেটিং পদ্ধিতেব কি ধরনের পরিবর্তন আনা দরকার। কি কি নতুন যোগ করতে হবে তা অনেক বুঝে যাবেন। তবে প্রচলিত মার্কেটিং পদ্ধতিটির মাধ্যমে কতজন ব্যক্তি আপনার পণ্য সম্পর্কে জানতে পেরেছে তা কিন্তু বুঝা যায় না। যেমন: ধরেন আপনি আপনার ব্যবসায়ের মার্কেটিং সুবিধার জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যানার বা পোস্টারের মাধ্যমে প্রচারণা করলেন কিন্তু কিন্তু আপনি এটা বলতে পারবেন না যে এই পোস্টার বা ব্যানার কত জন একটি দেখতে পেয়েছে কতজন ব্যক্তি আপনার সেই পোস্টার বা ব্যানার সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পেরেছে। অথচ আপনারা এটা দেখেন ডিজিটাল মার্কেটিং-এ প্রায় প্রতিটি দিক অনেক সহজেই ট্র্যাক করা সম্ভব হয়ষ। যদি আপনি বুঝতে পারেন আপনার মার্কেটিং স্ট্রেটেজিতে কোনরকম ভালো রকমের ফলাফল আসছে না তাহলে সেই স্ট্রেটেজি চাইলেই খুব সহজেই পরিবর্তন করে নিতে পারেন । এই পদ্ধতি আপনার মার্কেটিং এর ব্যয়কে কমে অনেক কমিয়ে আনবে।

অনেক সহজেই ট্রেন্ড গুলোকে শনাক্ত করে নেওয়া যায়ঃ

ট্রেন্ড মার্কেটিংয়ের জন্য সবসময় অধিক গুরুত্বপূর্ণ । ট্রেন্ড মার্কেটিং পদ্ধতিতে মার্কেটিং কে আগের চেয়ে অনেক পরিবর্তন করে। এর সবচেয়ে বড়ষকারণ মার্কেটিং সবসময় ট্রেন্ড অনুসারে হওয়া দরকার । আবার এই মার্কেটিং এর ট্রেন্ডও সব সময় পরিবর্তনশীল হতে পারে। এজন্য একজন মার্কেটারকে সর্বদাই ট্রেন্ডে এর প্রতি লক্ষ রাখতে হয়। ট্রেন্ড সনাক্তকরণ অথবা ট্রেন্ড অনুসরন করারষ জন্য সবচেয়ে কার্যকরী ও ভালো মাধ্যম হচ্ছে ডিজিটাল মাধ্যম। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে ধরনের ট্রেন সহজে জানা যায় এবং অতি সহজে বোঝা সম্ভব হয়। গুগল ট্রেন্ডে নির্দিষ্ট সময়ে কোন ধরনের স্থানে কোন ট্রেন্ড গুলো এখন বর্তমানে তা অতি সহজেই দেখা যায়। এই মার্কেটিং পদ্ধতিটি তৈরীর আগে ট্রেন্ড অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের কৌশল তৈরি করা যেতে পারে।

অনেক সহজেই কাস্টমারের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করা যায়ঃ

আমারা সকলেই জানি কাস্টমারের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি করে নেওয়া ব্যবসায়ের জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই ধরনের সম্পর্ক অনেক সহজেই তৈরি করা সম্ভব ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবস্থার মাধ্যমে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর বেশি ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট, ব্লগ, ফেসবুক পেইজ, ইউটিউব ভিডিও এসবের মাধ্যমে কাস্টমাররা এখানে সরাসরি তাদের নিজের অভিজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারে । এই পদ্ধতির মাধ্যমে কাস্টমারের সাথে খুব সহজে অনেক ভালো একটা সম্পর্ক গড়ে তোলা সম্ভব। এর ফলে কাস্টমারদের কি পছন্দ আর কি অপছন্দ এ বিষয়ে সম্পর্কে অনেক গভীরভাবে জানা যায় । এসব দিক বিচার বিবেচনা করে অনেক সহজেই সম্পর্কে ভালো কোনো উদ্যোগ নেয়া যায়। তাদের পছন্দ অপছন্দ সম্পর্কে জানা যায় এবং তার উপর নির্ভর করে উদ্যোগ নেয়া । এখন বর্তমানে ডিজিটাল পদ্ধতিটি প্রচলিত পদ্ধতির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

ব্যবসায়ীক প্রতিযোগিতাঃ

কেন আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং প্রন্থাটি অবলম্বন কারবেন তার একটাই কারণ হচ্ছে এখন বর্তমানে সকল ব্যবসায়ী ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতিটি ব্যবহার করছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে হোক কিংবা আমাদের দেশের মধ্যেই হোক আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর সকল ক্ষেত্রে দেখতে পাবেন। আজকে আমাদের দেশে খুব ছোট পরিসরের একজন ব্যবসায়ী ও তার পণ্য সামগ্রী সকলের কাছে উপস্থাপন করার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবহার করছে। আপনি এখন ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রয়োগ সকল ব্যবসায়ী কর্মক্ষেত্রে দেখতে পাবেন। বর্তমান পেক্ষাপটে একজন ব্যবসায়ী তার পণ্যকে ফেসবুক পেজের মাধ্যমে সকলের কাছে প্রচার করছে। তারা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সরাসরি লাইভ ভিডিও মাধ্যমে কাস্টমারের কাছে পণ্য উপস্থাপন করছে। ঠিক তেমনি ভাবে দেশের বড় বড় প্রভাবশালী কোম্পানিগুলোও তাদের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির জন্য প্রফেশনাল ডিজিটাল মার্কেটারও নিয়োগ দিচ্ছে । আপনি যদি ভেবে থাকেন ডিজিটাল মার্কেটিং করবেন না তাহলে এটি আপনার জন্য একটি ভুল সিদ্ধান্ত। তবে এক্ষেত্রে আপনার ব্যবসায়িক পণ্য কে মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য আপনার পণ্যের ব্র্যান্ড সম্পর্কে সবাইকে জানানোর জন্য কিন্তু আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং এর ব্যবহার করা দরকার। আপনি যদি এই সুযোগটি হাতছাড়া করেন তাহলে আপনার প্রতিযোগী ব্যবসায়ী এই সুযোগটি গ্রহণ করে ব্যবসায়ে অনেক উন্নতি সাধন করবে ।

আরও দেখুন:-  👎আলেশা কার্ড কি এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button