জীবনী

আরিফ আজাদ পরিচিতি (বায়োগ্রাফি) : বই, ছবি, মিথ্যাচার বিস্তারিত

বন্ধুরা, আজকে আমরা আরিফ আজাদ বায়োগ্রাফি(জীবনী) নিয়ে জানব।

সংক্ষেপে আরিফ আজাদ পরিচিতি:

  • নামঃ আরিফ আজাদ
  • জন্মঃ  ১৯৯০ সালের ৭ ই জানুয়ারি
  • পিতাঃ অজানা
  • মাতাঃ অজানা
  • জাতীয়তাঃ বাংলাদেশি
  • পেশাঃ লেখক
  •  ধর্মঃ ইসলাম
  • উচ্চতাঃ ৫  ফুট  ৪ ইঞ্চি
  • আরিফ আজাদ শিক্ষাগত যোগ্যতাগ
  • আরিফ আজাদের ফেসবুক ব্লগ: link

দেখা দিল কোটি মানুষের প্রিয় লেখক আরিফ আজাদ?দেখুন তার আসল পরিচয় ও জীবন কাহিনী:

আরিফ আজাদ এর উক্তি

১.চেহারা দেখালে যদি অন্তত একটা সাওয়াব পাওয়া যেত, বিশ্বাস করুন, আমি প্রতিদিন কম করে হলেও ফেসবুকে একটা ছবি আপলোড় দিতাম।

২.জীবনে আপনি একটি ফেরেশতাকে দেখতে পাবেন….সেটি হচ্ছে মালাকুলমাউত, মৃত্যুর ফেরেশতা।

৩. ফযর ছেড়ে দিলেন তো হেরে গেলেন।

৪. বহুমুখী একটা জাতি তৈরি হোক, আমি এটাই চাই।

৫. মানুষের চোখে নিজেকে মাপতে নাই, নিজেকে মাপতে হয় আসমানের আয়নায়

৫. কারো কটু কথা, কটুবাক্য এবং অপমানের বিপরীতে সবরের চাইতে মোক্ষম জবাব আর কিছু হয়না

৭. কারো প্রতি আচরণের পূর্বে এটা ভাবুন যে এই আচরণ পরবর্তীতে তার মনে আপনার জন্য শ্রদ্ধার উদ্রেক করবে,নাকি আপনার নাম শুনলেই তার অন্তর
ভরে উঠবে প্রবল ঘৃনায়।

আরিফ আজাদ এর বই (বুক রিভিউ)

আরিফ আজাদের প্যারাডক্সিকাল সাজিদ বইটি টি অনেক সাড়া ফেলে দিয়েছে। বিগত বই মেলায় ” প্যারাডক্সিকাল সাজিদ” লিখেে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছেম, তার পাশাপাশি তিনি নাস্তিক পাড়ায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন। তিনি তার লেখার মাধ্যমে ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমানের চেষ্টা করেন ।, এই বইটির অনেক জনপ্রিয়তা রয়েছে। বিশেষ করে আমার এই বইটি অনেক ভালো লেগেছে। আমি বইটি এই নিয়ে অনেকবার পড়েছি । এই বইটি আমার খুব ভালো লেখেছে। এছাড়া ও ইতিমধ্যে তার অনেক গুলো বই প্রকাশিত হয়েছে। তার মধ্যে “প্যারাডক্সিকাল সাজিদ” বইটি আমাট খুব ভালো লেগেছে। তার মধ্যে তিনি DNA অধ্যায়টা নিয়ে অনেক ভালো লিখেছেন। যারা জীবনে বিজ্ঞানের ‘ব’ পড়েনি তারা মোটামুটি DNA বিষয়টা অনেক ভালোভােবই বুঝে যাবে।
আমার অনেক বন্ধু বলেছে তারা প্যারাডক্সিকাল সাজিদ বইটি পড়ে তারা থার্মোডাইনামিক্সের সূএগুলো সম্পর্কে অনেক ভালোভাবে ধারণা পেয়েছে। এই বইটিতে আরো রয়েছে ফাংশনাল রিজনিং, শূন্য থেকে মহাবিশ্বে, কনসাসন বা চেতনা রহস্যের কথা। রয়েছে বিবর্তনবাদ DNA সহ কুরআন থেকে জোরালো প্রমানাদি স্রস্টার অস্তিত্ব স্বপক্ষে।

যরা এই বইটি এখনো পডেননি তাডাতাডি পড়ে নেবেন। এই বইটা থেকে অনেক কিছু জানতে পারবেন।

লেখক আরিফ আজাদ এর ছবি (পিকচার)

 

আরিফ আজাদ বিতর্ক

ইসলামের সার্বজনীন জীবনব্যবস্থার উপরআরোপিত ইসলাম-বিদ্বেষীদের নাস্তিকদের বিভিন্ন যুক্তি খন্ডন করে আলোচনায় আছেন অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও ইসলামিক বিষয়ক লেখক আরিফ আজাদ। একুশে বই মেলায় ২০১৭ সালে এরকম কিছু যুক্তিখন্ডমূলক গল্প দিয়ে বিশেষভাবে সাজানো বই “প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ” প্রকাশিত হলে তা ব্যাপকভাবে সাডা ফেলে। প্রকাশিত হওয়ার কিছুদিনের মধ্যে বইটির বিক্রি হয়ে যায় হাজার হাজার কপি। এতে করে এই বইটি বেস্ট সেলারের বই গুলোর শীর্ষে উঠে যায়। বইটি বেশ ঝড় তুলে ছিল নাস্তিক্য পাডায়ও। এর জন্য আরিফ আজাদ নানাভাবে নাস্তিকদের ট্রলের শিকার হয়েছিল।

তারপর থেকেই আরিফ আজাদ বিশেষ করে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ এর পর আরিফ আজাদ লিখেছেন আরও কয়েকটি বই,,যা নাস্তিকদের যুক্তিখন্ডনকে উপজীব্য করে অনিবার্যবসত সেগুলোও পাঠকপ্রিয়তা লাভ করেছেন।এ বছর তিনি বইমেলায় এনেছেন প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদের সিক্যুয়াল (প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ২)।

আরিফ আজাদের বইগুলো বইগুলো নাস্তিকদের মোকাবেলা যুক্তিখন্ডনকে উপজীব্য করা হলেও বইগুলোতে এই বইগুলোতে কুরআন হাদিসের ব্যাখ্যাগতভাবে ও বিভিন্ন সমস্যা আছে বলে ধর্ম বিষয়ের অবিজ্ঞ ও আলেম পাঠকরা অভিযোগ করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এই নিয়ে গত বছর ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও পক্ষে বিপক্ষে অনেক সমালোচনা ও হয়েছে। সাজিদ ২ সম্প্রতি প্রকাশ হওয়ার পর আবারো এই ধরনের আলোচনা – সমালোচনায় মুখর অনলাইন পাডা। বিগত বইগুলোর মতো এই বইয়ে কুরআান – হাদিসের ব্যাখ্যাগত অনেক ভুল বিচ্যুতি তুলে এনেছেন বিজ্ঞ ও আলেমশ্রেনীর পাঠকরা। তবে ব্যারটা নিয়ে এতটাই জল ঘোলা হয়েছে যে, আরিফ আাজাদের পক্ষে-বিপক্ষে হয়ে গেছে দুটো দল।
এক দল অন্ধভাবে তার বইয়ের সাপাই গাইছেন, আর অন্য দল অন্ধভাবে তাঁর ব্যাপারে মন্তব্য করছেন।

এই ব্যাপারে তরুণ অনুবাদক ও গবেষক আলেম মাওলানা আবদুল্লাহ আল মাসউদ সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন ” প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ২” নিয়ে বেশ আলোচনা- সমালোচনা ও মন্তব্য করছেন । যারা এটা নিয়ে আলোচনা- সমালোচনা করছেন তাদের সমালোচনা দুই ধরনের।

প্রথমত হচ্ছে যাঁরা নাস্তিক খন্ডন লিখিত বইয়ের সমালোচনা করছেন। অন্য দিকে দ্বিতিয় ধরণের সমালোচনা হচ্ছে যারা নির্দিষ্ট ভাবে সমালোচনা করছে “প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ২” এর। তাঁরা সমালোচনা করছেন নাস্তিকতা খন্ডন লিখিত বইয়ের।

যাঁরা এর এই সমসলোচনায় লিপ্ত তাঁদের কিছু সমালোচনা সঠিক এবং কিছু এমন আছে যে, সটাকে আলো সমালোচনায় বস্ত না বানালেও চলে। তবুও তারা সমালোচনা করে যাচ্ছে। হয়তো এরা প্রল্রম্বিত করার জন্য সম্পূর্ন সমালোচনার সাথে এগুলোকে সংযুক্ত করতে দিচ্ছেন।

আরিফ আজাদের মিথ্যাচার

আমাদের দেশে সর্বএই দেখা যাচ্ছে যে, অনেকে ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে। মনের না থেকে মুক্তি ইত্যাদির বিজ্ঞাপন দেখেন নি এমন মানুষ খুব কম পাওয়া যাবে। এইসব বিজ্ঞাপনে সম্পূর্ন কোরআন হাদিসের আলোকে সমাধানের কথা বলা হয়ে থাকে। এইসব ধর্মব্যবসায়ীদের মূল লক্ষ হলো সামাজিক ভাবে দরিদ্র অশিক্ষত এবং অশিক্ষত জনগণ।

তবে বাংলাদেশ হচ্ছে বিজ্ঞানের খুব অনগ্রসর একটা দেশ। এদেশে বিজ্ঞান চর্চার জন্য রয়েছে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এর অভাব, এদেশের স্কুল কলেজে বিজ্ঞান ঠিক মত পড়নো হয়না। স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি পাস করা মানুষের বিজ্ঞানের খুব সাধারণ বিষয় সম্পর্কে ধারণা খুবই কম।
মানুষের বিজ্ঞানের প্রতি অজ্ঞানতাকে পুজি করে ইদানিং গড়ে উঠেছে ধর্মব্যবসায়ীদের একটি দল।

আমাদের নতুন প্রজন্মের এই চতুর ধর্মব্যবসায়ীদের মধ্যে একজন প্রতিনিধি হচ্ছেন আরিফ আজাদ। তার ৪০০০০ হাজারের ও বেশি ফেসবুক ফলোয়ার রয়েছে। ধর্মের কোনো কথাই বিজ্ঞানের আলোচনাতে আনা উচিৎ নয়। কারণ দুটোর আলোচনা প্রসঙ্গ ভিন্ন।
আরিফ আজাদ তার পোষ্টে কিন্তু অপ্রাসঙ্গিকভাবে জোর করে ধর্মকে টেনে আনে।
ধর্মকে টেনে নাআনলে মনে হয় মানুষ তার পণ্য কিনবেনা।

আমাদের দেশের বিবর্তন সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান প্রায় কিন্তুু শূন্যের দিকে । মানুষকে বিবর্তন সম্পর্কে ভিওিহিন তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করা খুবই সহজ। আরিফ আজাদ একের পর এক মনগড়া পোষ্ট দিয়ে মানুষের আবেগ ও অজ্ঞানতাকে পুজি করে অপবিজ্ঞান প্রচার করে যাচ্ছেন । আর এসব দিয়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছেন। এই ধর্ম ব্যবসায়ির একটি পোষ্ট ফেসবুকে( ৪০০) অধিক শেয়ার হয়েছে, যেটা বিজ্ঞান বিজ্ঞনপ্রেমীদের জন্য দুঃখজনক বটে।

বৈজ্ঞানিক সব জার্নালের রেফারেন্স দিতে হয় একটা বৈজ্ঞানিক আলোচনা করে গেলে । কিন্তু কোথাও কোনে পিয়ার রিভিউড জর্নালের সাইটেশন দেননি আরিফ আজাদ। ।

আরিফ আজাদ উইকিপিডিয়া নথীটিও পড়তে পারেন। তো বন্ধুরা, আরিফ আজাদের জীবনী কেমন লাগল কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।

আরো দেখুন- মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর জীবনী রচনা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button