জীবনী

সাদিও মানে এর জীবনী ও ধর্ম

এখন আমরা জানবো সাদিও মানে জীবন সম্পর্কে((Sadio mane Biography bangla)।

সাদিও মানে আমার খুব প্রিয় একজন খেলোয়াড.  সেনেগাল দেশটির মধ্যে যত ফুটবলার রয়েছে তার মধ্যে সে একজন অন্যতম ভালো ফুটবলার.

  • নাম: সাদিও মানে
  • জন্ম: ১৯৯২ সালের ১০ই এপ্রিল
  • জন্মস্থান:  সেনেগাল
  • উচ্চতা: ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি
  • জাতীয়তা:  সেনেগালীয়
  • ধর্ম:  ইসলাম
  • ‏ জাতীয় দল:   সেনেগাল
  • বর্তমান ক্লাব:   লিভারপুল
  • জার্সি নাম্বার: ১০
  • মাঠের অবস্থান:     আক্রমণভাগের খেলোয়াড
সাদিও মানে যিনি বর্তমান বিশ্ব ফুটবলের এক তরুণ সেরা ও জনপ্রিয় নাম তার খেলোয়াড় শৈলী নিপুণতা ও একনিষ্ঠতার জন্য তিনি আজ সারাবিশ্বের তরুণ ফুটবলপ্রিয় দর্শকদের কাছে ক্রিকেটের বিরাট  শচীন টেন্ডুলকারের মত যেমন মতোই জনপ্রিয়।
লিভারপুল ফুটবল ক্লাবের এই তারকা সপ্তাহে প্রায় এক কোটি টাকার অধিক উপার্জনকারী সাদিও মানে আফ্রিকা মহাদেশের গরিব দেশ স্রেনেগালের  একটি  হতো দারিদ্র পরিবারের সন্তান ছিলেন তার আজকের অবস্থান শুধু মাত্র তার পরিশ্রমে আর একাগ্রতায়  কারণেই হয়েছে।
Pic সাদিও মানে
Pic সাদিও মানে
 সাদিও মানিরর খেলায় আবির্ভাব
তার পরিবার  এতই দারিদ্র ছিল যে ছোটবেলায় তাকে না খেয়ে ও রাত কাটাতে হয়েছে খিদের জ্বালায় মাটি পর্যন্ত খেয়েছেন তবুও মনের জোর আর খেলার প্রতি ভালোবাসা  কোনো কমতি আসেনি।  সাদিও  মানির জীবনের সফলতার কাহিনি সকলের মনে সাহস আর অনুপ্রেনা জাগায়। সাদিও মানে নতুন ফুটবলারদের অনুপ্রেরণা যোগায়।
সেনেগালীয় ফুটবল ক্লাব  জেনারেশনেরর  ফুটবল যুব পর্যায়ের হয়ে খেলার মাধ্যমে সাদিও  মানে ফুটবল জগতে প্রবেশ করেছেন এবং এই ক্লাবের হয়ে খেলার মাধ্যমেই তিনি ফুটবল খেলায়  নিয়জিত  হয়েছেন। ২০১১–১২ মৌসুমে, ফরাসি ক্লাব ম্যাচের  হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি তার জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের  খেলার  জীবন শুরু করেছেন, যেখানে তিনি ১ মৌসুমে    কাটিয়েছেন ; ম্যাচের  হয়ে তিনি ২২ ম্যাচে ২টি গোল করেছেন। অতঃপর  তিনি ২০১২–১৩ মৌসুমে  অস্ট্রীয় ক্লাব রেড বুলের জলৎসবুর্গে যোগদান করেছেন,রেড়  বুল জালৎসবুর্গের হয়ে তিনি রাজার স্মিটের  অধীনে ১টি লীগ শিরোপাসহ ২টি শিরোপা জয়লাভ করেছেন। রেড বুল জালৎসবুর্গে ২ মৌসুম অতিবাহিত করার পর  চুক্তি সাক্ষর করেছেন  ইংলিশ  ক্লাব  সসাউদাম্পটনের সাথে  , যেখানে  মানে  সকল প্রতিযোগিতায়  ২৫ টি গোল  করেছেন ৭৫ ম্যাচে। ২০১৬–১৭ মৌসুমে  মানে  ৩০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে লিভারপুল  যোগদান করে  সাউদাম্পটন  ছেড়ে।

বেঙ্গলি লাইফ স্টরি সাদিও মানে

ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের জগতের সেরা   এক তরুণ খেলোয়াড় হওয়া সত্বেও তিনি তার জীবন যাপনে শৃঙ্খলা আর সাধারণতা মেনে চলেন।  আপনাদেরশুনতে হয়তো আবার লাগবে তিনি এখনো তার ভাঙ্গা আইফোন ৭ টাই  এখনো  ব্যবহার করে চলেছেন।
আফ্রিকান  এইতরুণ প্রতিভাবান ফুটবল খেলোয়াড় জীবনে সফলতার পাশাপাশি আরো যেটি তার জীবনে অর্জন করেছেন সেটি হলো মনুষত্ব বোধ তিনি তার ফেলে আসা দেশ গ্রাম ও সেই সকল মানুষদের ভুলেননি যারা তার    ফাঁসি ছিল।
তার উপার্জনের বড় একটি অংশ তিনি দেন তার প্রতিষ্ঠিত দাতব্য সংস্থায় যা থেকে তার দেশ  সেনেগালেরও তার গ্রামের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা হয়।

সাদিও মানের হাসপাতাল ণ –  Sadio Mane Hospital

যখন সাদিও মনের বয়স  প্রায় নয় বছর তখন তার পিতার  মৃত্যু হয় হৃদ যন্ত্রের ক্রিয়বন্ধ হয়ে সেই সময় ছোট সাদিও মানে গ্রামের ফুটবল মাঠে ফুটবল খেলছিলেন। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন আমার বাবা যখন অসুস্থতায় যন্ত্রনা কাতর হয়ে উঠেছিলেন ছিলেন তখন আমরা তার  চিকিৎসার ব্যাবস্থা করতে পারিনি।
কারণ তাদের গ্রামের কাছাকাছি কোন সরকারি হাসপাতাল ছিলনা আমার বাবা দুপুরে অসুস্থ হয়ে প্রায় সন্ধ্যায় মৃত্যুর কোলে ঢলেপড়েন তখন আমার এই কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে আর একটি হাসপাতালের অভাব অনুভব করেছি আর কষ্ট নিয়ে ছুটে বেড়িয়েছি।
বর্তমানে তিনি তার দেশ স্রেনেগালের গ্রামের বাড়িতে সম্পূর্ণ ব্যাক্তিগত অর্থায়নে একটি আধুনিক চিকিৎসা সুবিধা সম্পন্ন বহুতল হাসপাতাল নির্মাণ করেছেন যাতে তার বাবার মতো আর কাউকে বিনা চিকিৎসায় মরতে না হয়।

সাদিও মানে স্কুল-   Sadio Mane School

লিভারপুল তারকা সাদিও মানে তার মনের উদারতার আরও একবার পরিচয় দিয়েছেন তার গ্রামের বাড়ির স্কুলে পরিদর্শনে গিয়ে আর সেখানে তিনি তার অর্থায়নে স্কুলের নতুন ভবন নির্মাণ আর  পরিকাঠামো উন্নয়নে বিভিন্ন কাজের অগ্রগতি ঘুরে দেখেন।
বর্তমান ফুটবলের আফ্রিকান তারকা Sadio Mane Biography in Bengali সাদিও মানের জীবনের সফল হাওয়ায় প্রচেষ্টা ও হাল না ছেড়ে দেয়া কাহিনী আপনাদের নিশ্চই অনুপ্রাণিত করেছে  আপনার গুরুত্বপূর্ণ মতামত কমেন্টে জানা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button